রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মরসুমে ২৮ কোটি প্যাকেট (এক প্যাকেটে ৫০ কেজি) আলু রাজ্যে উৎপাদন হবে। অর্থাৎ, ১ লক্ষ ৪০ টন। যা অতীতে হয়নি। পরিস্থিতি আঁচ করে আলুর অভাবী বিক্রি রুখতে সহায়ক-মূল্য বাড়িয়ে
অন্তত কুইন্টালপ্রতি ১২০০ টাকা করার দাবিতে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত আবেদন করল রাজ্যের প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি।
সমিতির কর্তাদের বক্তব্য, সহায়ক-মূল্য বাড়লে রাজ্য সরকারকে আলু বিক্রিতে চাষিদের উৎসাহ বাড়বে। চাষিদের কথা ভেবে হিমঘরের ভাড়া চলতি মরসুমে না বাড়ানোর আর্জিও তাঁরা লিখিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবকে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার আলু
কিনছে কুইন্টালপ্রতি ৯০০ টাকা সহায়ক-মূল্যে।
রাজ্য কৃষি বিপণন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘সদ্য চিঠি এসেছে। আলুর সঙ্গে বিশেষজ্ঞ কমিটি বাদেও অনেক দফতর জড়িত। এ নিয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল সিদ্ধান্ত নেবে।’’ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হিমঘরের বর্ধিত ভাড়া চাষিদের ঘাড়েই চাপবে।
এক দিকে অতি ফলন, অন্য দিকে ভাড়া বৃদ্ধি। ফলে, রাজ্যের ঘোষিত সহায়ক মূল্যের সুবিধা চাষিরা
পাবেন না।’’
প্রতি তিন বছর অন্তর বিধি অনুযায়ী হিমঘরে আলু রাখার ভাড়া বৃদ্ধি হয়। রাজ্যের হিমঘর-মালিক সংগঠনের এক কর্তা বলেন, ‘‘আলু ব্যবসায়ী সংগঠন নিজেদের কথা বলছে। আমাদের দাবি ছিল, কুইন্টালপ্রতি আলু রাখতে ৩৩ টাকা ভাড়া বাড়ানোর। কিন্তু রাজ্য সরকার মাত্র ১৪ টাকা বাড়িয়েছে। আদতে হিমঘর ব্যবসাটাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বহু মানুষের
রুটিরুজির প্রশ্ন এখানে জড়িত।’’ লালুর দাবি, ‘‘সে ক্ষেত্রে রাজ্য
সরকার হিমঘর মালিকদের
ভর্তুকি দিক।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)