—প্রতীকী চিত্র।
বেআইনি বহুতল তৈরি হচ্ছে, এই অভিযোগে দুই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে হাওড়া পুরসভায় গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, তারই প্রতিশোধ নিতে ওই দুই প্রোমোটার ও তাঁদের দলবল রবিবার রাতে হামলা চালাল অভিযোগকারীর পরিবারের উপরে। অভিযুক্তদের পাল্টা মারধর করেন এলাকার বাসিন্দারাও। যার জেরে আহত হলেন দু’পক্ষের পাঁচ জন। তাঁদের মধ্যে তিন জন হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আহতেরা হাসপাতালে ছিলেন। এই ঘটনায় দু’পক্ষেরই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে সাঁতরাগাছি থানা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বাকসাড়ার কেটোপোলে বাড়ির সামনে তিনটি বেআইনি বহুতল তৈরির পাশাপাশি রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখার অভিযোগ করেছিলেন আফতাব আলম নামে এক বাসিন্দা। আফতাবের অভিযোগ, ছ’ফুট রাস্তার পাশে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছিল। রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী পড়ে থাকায় হাঁটাচলায় অসুবিধা হচ্ছিল। প্রোমোটারদের বলায় তাঁরা উল্টে শাসানি দেন বলে আফতাবের অভিযোগ। আরও অভিযোগ, পুরসভার দ্বারস্থ হলেও লাভ কিছু হয়নি। শুধু পুরসভায় দু’পক্ষকে ডেকে শুনানি হয়েছে মাত্র।
আফতাব জানান, তাঁরা কেন পুরসভায় অভিযোগ করেছেন সেই প্রশ্ন তুলে রবিবার রাতে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল তাঁদের বাড়িতে রড, লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধর করা হয় আফতাবের বাবা ইসাদ আহমেদ ও ভাই মঞ্জুর আলমকে। হেনস্থা করা হয় তাঁর মা ও বোনকেও। ঘটনার পরেই আফতাবের পরিবার সাঁতরাগাছি থানায় দুই প্রোমোটার ও দলবলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ওই দুই প্রোমোটার মহম্মদ জাভেদ ও সিরাজ আলম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, এলাকার বাসিন্দারাই তাঁদের বেধড়ক মারধর করেন। সোমবার হাসপাতালে বসে সিরাজ বলেন, ‘‘আমি প্রোমোটার নই। শ্রমিক সরবরাহ করার ঠিকাদার। যাঁরা পুরসভায় অভিযোগ করেছিলেন, রবিবার তাঁরাই হামলা চালান।’’
হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ঘটনাটি খতিয়ে দেখে পুরসভার তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy