নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকলেন হাইকোর্টের আইনজীবীরা। গরমের কারণে কর্মবিরতির পথেই গেলেন তাঁরা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে গরহাজির থাকলেন প্রায় ৯৫ শতাংশ আইনজীবী। যদিও প্রায় সব বিচারপতিই এ দিন এজলাসে হাজির ছিলেন। ফলে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি তো হলই, ক্ষুব্ধ হলেন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরও।
১৫ দিন গরমের ছুটি থাকার পরে ন’দিন কাজ করেছেন আইনজীবীরা। কিন্তু গরমের কারণে বুধবার থেকে ফের তিন দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল বার অ্যাসোশিয়েশন। বুধবার কর্মবিরতির ছবি স্পষ্ট হতেই ক্ষুব্ধ হলেন প্রধান বিচারপতি।
এ দিন বেলা ১২টার সময়ে নিজের এজলাসেই ছিলেন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। এ দিন যে সমস্ত মামলার তারিখ ছিল পর পর সেগুলি ডাকার পরে কোনও আইনজীবীকেই পাওয়া যায়নি। এর পরে অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র, সরকারি আইনজীবী অভ্রতোষ মুখোপাধ্যায় এ দিন প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন, দু’পক্ষের আইনজীবীর কথা না শুনে তিনি যেন কোনও নির্দেশ না দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এটা খুব অস্বস্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক। তবে আমরা এমন কিছু কাজ করব না যাতে বিচারপ্রার্থীদের অসুবিধা হয়।’’ বিরক্তির সুরে তিনি বলেন, ‘‘বিচারপ্রক্রিয়ায় বিলম্ব হলে সেই দায় কার?’’ এর পরে প্রায় সওয়া ১২টা নাগাদ নিজের এজলাস ছেড়ে উঠে যান তিনি। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও যথাসময়ে এজলাসে হাজির ছিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, বিচারপতি অসীম রায়, বিচারপতি হরিশ টন্ডন, বিচারপতি প্রমোদ চট্টোপাধ্যায়, বিচারপতি ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেক বিচারপতিই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy