—ফাইল চিত্র।
ব্রিগেড সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক দিয়েছেন, ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও’। কিন্তু দেশ জু়ড়ে বিজেপি যা করছে, রাজ্যে তৃণমূলও তা-ই করছে, সেই অভিযোগ মমতার ব্রিগেডের পরেও সামনে আনল সিপিএম। ব্রিগেডে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বামফ্রন্টের সমাবেশ হবে ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও, তৃণমূল হটাও, রাজ্য বাঁচাও’ স্লোগান নিয়েই।
তৃণমূলের উদ্যোগে সারা দেশের নানা বিরোধী দলের নেতৃত্ব যখন ব্রিগেড সভায় উপস্থিত, সেই সময়েই উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটে শনিবার সমাবেশ করেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমেরা। ডিওয়াইএফআইয়ের আয়োজিত ওই সমাবেশে ইয়েচুরির প্রশ্ন, ‘‘বিজেপির মতো তৃণমূলও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস করছে। বাংলায় বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতায় নেমেছে। সেই তৃণমূলকে নিয়ে কী ভাবে বিজেপিকে উৎখাত করার লড়াই হতে পারে?’’
কলকাতায় একই সুরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, ‘‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও— এটা আমরা চার বছর আগে থেকেই বলে আসছি। সেই সঙ্গে আমরা তৃণমূলকে সরানোর কথাও বলছি।’’ তাঁর যুক্তি, তৃণমূলের মুখে ওই কথা মানায় না। এ রাজ্যে ভোট লুঠ হয়, বিরোধীদের ‘মিথ্যা মামলা’ দেওয়া হয়, সভা-সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না, ধর্মঘটে অলিখিত ১৪৪ ধারা জারি হয়। কৃষকের আয় তিন গুণ হয়েছে, বেকারত্ব ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে বলে যে সব তথ্য ব্রিগেডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিয়েছেন, তার বাস্তবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সূর্যবাবুরা।
কাউকে নেতা করার জন্য নয়, নীতি বদলের ডাক দিয়েই ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁরা ব্রিগেডে যাবেন এবং সে দিন চোখে পড়ার মতো জমায়েত হবে বলে দাবি করেছেন ইয়েচুরি, সূর্যবাবুরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy