মোদীকে কালো পতাকা। মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র
মেদিনীপুরে কালো পতাকা আর কলকাতায় কুশপুতুল পোড়ানো, নরেন্দ্র মোদীর অনুষ্ঠান ঘিরে সোমবার নিজেদের কর্মসূচি পালন করল বামেরাও।
প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে এ দিন কালো পতাকা দেখায় সিপিএমের ছাত্র ও যুব কর্মীরা। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। এ দিন মোদীকে কালো পতাকা দেখিয়েছেন কংগ্রেসের কর্মীরাও।
মোদীর সভাস্থলের অনতিদূরে, কেরানিতলায় জড়ো হয়েছিলেন বাম কর্মীরা। কংগ্রেসের কর্মীরাও কাছেই কালো পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মোদীর কনভয় ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়েই তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর কর্মসূচি পালিত হয়।
সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, ‘‘গরিব মানুষ আরও গরিব হচ্ছে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়নি, কৃষকদের সমস্যা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ধোঁকা দিচ্ছেন।’’ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সমীর রায়ের দাবি, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’’ বিরোধীদের এই প্রতিবাদকে অবশ্য আমল দেয়নি বিজেপি। দলের রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কংগ্রেস, সিপিএম আছে কোথায়? দু’টি দলই মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন। এ সবই প্রচারে আসার চেষ্টা।’’
অন্য দিকে, কলকাতায় এদিন ১৪টি বাম সংগঠনের মিছিল ছিল কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা। যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় আড়াইশো ছাত্র-যুব। মিছিলের বিষয় ছিল ‘শিক্ষাক্ষেত্রে অরাজকতা ও দুর্নীতি’। কিন্তু মোদীর সফরের কারণে সেই মিছিলেরও অভিমুখ বদলে যায়। মিছিলের একেবারে সামনে রাখা হয় মোদীর কুশপুতুল। পরে ধর্মতলায় যা পোড়ানো হয়। স্লোগানও ছিল মূলত মোদী বিরোধী। বার বার রোল ওঠে— ‘নরেন্দ্র মোদী গো ব্যাক’।
এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকার যে নতুন নতুন শিক্ষানীতি তৈরি করছে, যে ভাবে ইউজিসিকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে, তার তীব্র বিরোধিতা করছি।’’ পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে ‘তোলাবাজি’র অভিযোগও তোলেন তিনি। মিছিল আয়োজকদের বক্তব্য, যেহেতু নরেন্দ্র মোদী এদিন রাজ্যে এসেছিলেন, তাই তাঁকেই মূলত নিশানা করা হয়।
তৃণমূলের কৃষক ও খেত মজুর সংগঠনও এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মোদীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়। তবে মেদিনীপুরে এদিন তাঁরা কোনও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেননি। কাল তাঁরা সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পুড়িয়ে ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy