হরকাবাহাদুর ছেত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
বিমল গুরুঙ্গের অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন মোর্চার শরিকরাই! শুক্রবার সাংসদ অহলুওয়ালিয়ার নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে জিএনএলএফ। শনিবার জন আন্দোলন পার্টির সভাপতি হরকাবাহাদুর ছেত্রী মোর্চা নেতাদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। গোর্খাল্যান্ড দাবি আদায় সমন্বয় কমিটি থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
হরকার সাফ কথা, পাহাড় এখন নতুন নেতা চাইছে। তিনি বলেন, ‘‘যে ভাবে পাহাড়ের পুরনো নেতারা দ্রুত বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে ফরাসি বিপ্লবের মতো হয়তো কোনও নেপোলিয়ানের উত্থান হবে।’’ এ কথা শুনে পাহাড়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। কে হবেন সেই নেপোলিয়ন? হরকা নিজে, নাকি জিএনএলএফের মন ঘিসিঙ্গ? নাকি মোর্চার বিনয় তামাঙ্গ বা তরুণ কোনও নেতা?
হরকা বলেছেন, ‘‘সেটা পাহাড়ের মানুষ ঠিক করবেন। আমি এটুকু বুঝি, গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে দ্রুত আলোচনা শুরু করতে হবে।’’ কেন্দ্র এবং রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবিও তুলেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘রাজ্য সরকার দাবির পক্ষে না বিপক্ষে, সেটা আলোচনায় বসে সরকারি ভাবে বলুক। কেন্দ্রও জানাক, এখনই দাবি মানবে, নাকি আরও দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হবে? নাকি কোনও দিনই মানবে না?’’
মোর্চার ডাকা সর্বদল বৈঠকে যে আর সমাধান সূত্র মিলবে না, সেটাও জানিয়ে দেন হরকা। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক সর্বদল বৈঠক হল। বুঝলাম যে নেতারা চাইলেও বন্ধ তুলতে পারবেন না। তা হলে তাঁদেরই বিপদে পড়তে হতে পারে।’’ একই সঙ্গে কড়া সমালোচনা করেছেন পুলিশের। তাঁর অভিযোগ, পুলিশের অনেকে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই ব্যস্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy