প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রস্তাবে সিপিএম ‘না’ বলার পরে জ্যোতি বসু বলেছিলেন, ‘হিস্টোরিক ব্লান্ডার’। এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল ‘ব্লান্ডার’-এর কথা! স্মরণযোগ্য কালের মধ্যে তৃণমূল নেত্রীর এমন ভুল স্বীকার এই প্রথম।
নারদ নিউজের ম্যাথু স্যামুয়েল দাবি করেছেন, স্টিং অপারেশন চালানোর জন্য টাকার জোগান দিয়েছিল তৃণমূলেরই রাজ্যসভার সাংসদ কেডি সিংহের সংস্থা। তার পর থেকেই দলের অন্দরে তোপের মুখে কেডি। এ বার মুখ খুলে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দিলেন, ঝাড়খণ্ড থেকে এনে কেডি-কে তৃণমূলের সাংসদ করাই ভুল হয়েছিল। মমতার কথায়, ‘‘ওটা আমার ভুল ছিল। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে ছবি দেখেছিলাম, ওঁকে ভাল লোক বলেই জানতাম।’’ এই সূত্রেই সাসপেন্ডেড সাংসদ কুণাল ঘোষের প্রতি ইঙ্গিত করে মমতা বলেন, ‘‘আরও এক জন আছেন। রিপোর্টার। আপনারা জানেন। কী করব, ভুল হয়ে গিয়েছে।’’
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সাংসদ হওয়ার সময়ে বিধায়ক কেনা-বেচার অভিযোগে মামলা আছে কেডি-র নামে। সেই ঘটনা সম্পর্কেও যে তিনি অবহিত, বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দে তা জানিয়েছেন মমতা। কে ডি-র অর্থলগ্নি সংস্থা অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা রুজু করেছে মমতার পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ওরা বাংলাকে নিশানা করলে, আমিও ইন্ডিয়া টার্গেট করব!’
কিন্তু দলনেত্রী নিজেই যখন ভুল বুঝতে পারছেন, তা হলে এখন কেন কে ডি-কে সাসপেন্ড বা বহিষ্কার করা হচ্ছে না? মমতার জবাব, ‘‘বহিষ্কার করে কী হবে? উনি তো সাংসদ থেকে যাবেন! এখন ওঁর সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই। ডেরেক ও’ব্রায়েন রাজ্যসভার দলের নেতা বলে মাঝেমাঝে ওঁকে খবর নিতে হয়।’’
নারদ-কাণ্ডে সহকর্মীদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন মমতা। তাঁর দাবি, নারদের অভিযান ‘প্ল্যান্টেড গেম’। সাংবাদিক কথা বলতে চান বলেই তৃণমূলের নেতা ইকবাল আহমেদ ম্যাথুকে নিয়ে গিয়েছিলেন দলের অন্যান্য নেতার কাছে। তাঁরা কেউ ঘুষ চাননি বলে মমতার দাবি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি এই স্টিং অপারেশনের দায় অস্বীকার করতে পারে না। যে হেতু ২০১৪-র ভোটের সময়ে বলা হয়েছিল কাউকে কাউকে ও’পার বাংলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম, তাই আমাদের বিরুদ্ধে এ সব পরিকল্পনা হয়েছিল।’’
নারদ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পরে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করেছিল হাইকোর্ট পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। যার জন্য সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কারের মুখে মামলা প্রত্যাহার করতে হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘‘ওটা আমাদের বক্তব্য নয়। এক জন আইনজীবী এটা বলেছিলেন। তাঁকে সরানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy