এ দফায় তলব যাঁদের: মুকুল রায়, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার এবং মদন মিত্র।
রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ মুকুল রায়কে নারদ কাণ্ডে হাজিরার নোটিস পাঠাচ্ছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, তলবি নোটিস পাঠানো হচ্ছে আরও ৫ সাংসদ-নেতাকেও।
নারদ কাণ্ডে প্রাথমিক ভাবে এ রাজ্যের যে ১৩ জন প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে, তার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৬ জনকে প্রথম দফায় জেরা করেছেন ইডি অফিসারেরা। তার বাইরে এক জন, রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ২২ অগস্ট ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা। বাকি ৬ জনকে খুব তাড়াতাড়ি নোটিস পাঠানো হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। সেপ্টেম্বরের ১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে ওই ৬ জনকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজির থাকতে বলা হবে।
এই তালিকায় মুকুল ছাড়া রয়েছেন তৃণমূলের চার সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অপরূপা পোদ্দার। আর রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র।
ইডি সূত্রের খবর, অভিযোগ ওঠা ১৩ জনের প্রথম দফার জিজ্ঞাসাবাদ পুজোর আগে সেরে ফেলতে হবে বলে দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে। পুজো শুরু হচ্ছে ২৬ সেপ্টেম্বর। তার আগেই তাই ডেকে নেওয়া হবে বাকিদের। ইডি জানিয়েছে, এই ১৩ জনের বয়ান ও তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া নথিপত্র পুরোটাই দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় থাকবেন কলকাতার অফিসারেরা। প্রয়োজনে কয়েক জনকে ডেকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে জোরালো বিস্ফোরণ দার্জিলিঙে
নারদ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই রাজ্যের তিন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করেছেন ইডি অফিসারেরা। এ ছাড়া তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ, কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদ এবং আইপিএস অফিসার এস এম এইচ মির্জাকেও ডেকে জেরা করা হয়েছে।
ইডি-র দাবি অনুযায়ী, মির্জা বলেছিলেন নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে পাওয়া টাকা তিনি বর্ধমানের কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দান করেছেন। সেই সব সংগঠনের কর্তাদের ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। ম্যাথু কলকাতায় এসে টাকা দিয়েছিলেন ২০১৪ সালে, লোকসভা নির্বাচনের আগে। সংগঠনগুলির কাছ থেকে নির্দিষ্ট করে সেই বছরের সমস্ত আর্থিক হিসেব চাওয়া হয়েছে। ইডি-র কাছে ইকবাল দাবি করেছেন, ম্যাথুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি কলকাতার একটি নামী ফুটবল ক্লাবকে দিয়েছেন। সেই ক্লাবের হিসেবও চাওয়া হয়েছে।
ইডি-র দাবি, এক মাত্র কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী শোভনই জেরায় টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। বাকিরা সকলেই টাকা নেওয়ার কথা মেনে নিয়েছেন। শোভনের কোন ব্যাঙ্কে কতগুলি অ্যাকাউন্ট রয়েছে তা জানার জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত ব্যাঙ্ককে নোটিস দিয়ে জানতে চেয়েছে ইডি। অন্য নেতা-মন্ত্রীদেরও বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy