তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে নভেম্বরেই তল্লাশি চালায় সিবিআই। — ফাইল চিত্র।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁদের বাড়িতে আগেই তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এ বার কলকাতা হাই কোর্টে পেশ করা রিপোর্টেও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে দুই তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী এবং বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের নাম জমা পড়ল। মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই, তাতে দাবি করা হয়েছে দেবরাজ ও বাপ্পাদিত্য ছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতিতে এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন মহিদুল আনসারি, জফিকুল ইসলাম, সজল কর এবং সৌরভ ঘোষ। তাঁদের ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে অনেক নথি মিলেছে বলে দাবি করা হয়। সেই সব নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানায় সিবিআই।
প্রসঙ্গত, এঁদের মধ্যে দেবরাজের স্ত্রী অদিতি মুন্সি শাসকদলের বিধায়ক। তাঁর বাড়িতে সিবিআই গত নভেম্বর মাসেই তল্লাশি চালায়। এমনকি, অদিতির গানের স্কুলে তল্লাশি চালানো হয়। সিবিআই সূত্রে জানা যায় দেবরাজের থেকে টেটের কয়েকটি মার্কশিট এবং বদলির আবেদনপত্র পাওয়া যায়। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। একই দিনে দেবরাজ এবং কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা।
বাপ্পাদিত্যের কাছ থেকেও চাকরি সংক্রান্ত নথি মিলেছে। সিবিআই তাঁকে ‘এজেন্ট’ বলে দাবি করার পরে কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’ দেবরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা যায়নি। তবে তিনি আগেই বলেছিলেন, ‘‘আমার বাড়ি থেকে একটি বা দু’টি অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আমি প্রায় নিশ্চিত, ওই প্রার্থীরা কেউই চাকরি পাননি। হয়তো কোনও শংসাপত্রের জন্য এগুলি কেউ আমাকে দিয়ে গিয়েছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy