সনিয়া ও রাহুল গাঁধীকে ইডি নোটিস দেওয়ার সমালোচনায় সৌগত রায়। ফাইল চিত্র
বিরোধিতা করলেই অন্য রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডি-কে লেলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। বেআইনি ভাবে অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং তাঁর পুত্র রাহুল গাঁধীকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) নোটিস পাঠানোয় এমনই প্রতিক্রিয়া দিল তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে দমদমের প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘এ তো আর কোনও নতুন বিষয় নয়। বিরোধীদের টার্গেট করে সিবিআই-ইডির ব্যবহার করছে বিজেপি। যে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি-র বিরুদ্ধে কথা বলে সরব হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই ও ইডির মতো সংস্থাগুলিকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’
সৌগত বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে অহেতুক সিবিআই ইডি-কে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে, যেভাবে সম্প্রতি দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেভাবেই মহারাষ্ট্র সরকারের এক মন্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই রাহুল বা সনিয়া গাঁধীর বিরুদ্ধে ইডি-র নোটিস দেওয়াটাও সেভাবেই দেখছি।’’ ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে সনিয়া এবং রাহুলকে আগামী ৮ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দমদমের প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘কংগ্রেসের উচিত যথাযথ আইনি লড়াই করা।’’ প্রসঙ্গত, সোমবার বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ) নেতা সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে সত্যেন্দ্রর বাড়ি এবং দফতরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বেআইনি আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিককে গ্রেফতার করে ইডি। আর পশ্চিমবঙ্গে সিবিআই-ইডির নোটিস এবং জেরার মুখে পড়েছেন বেশ কিছু তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy