রাহুল এবং সনিয়া। ফাইল চিত্র।
বেআইনি ভাবে অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং তাঁর ছেলে রাহুলকে নোটিস পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বুধবার এ কথা জানানো হয়েছে।
ইডি-র তরফে ডানানো হয়েছে, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাহুলকে ২ জুন এবং সনিয়াকে ৮ জুন ইডি-র দফতরে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই নোটিসে। আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বুধবার ইডি-র নোটিস প্রসঙ্গ বলেন, ‘‘এটি বেআইনি অর্থ লেনদেনের মামলার এক অদ্ভূত নোটিস, যার সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন জড়িত নেই। এটি পুরোপুরি প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে এর মোকাবিলা করব।’’
জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র নিয়ে মনমোহন সিংহের জমানাতেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। যার মূল হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর অভিযোগ, ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড’ নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। যার বেশিরভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া।
২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই অবস্থাতেই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে সনিয়া, রাহুল এবং শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা। যার পর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানের দখলে চলে আসে। ৯০ কোটি টাকা দেনার বোঝাও চাপে তাদের ঘাড়ে।
এর কিছু দিন পর ‘দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়’ বলে কারণ দেখিয়ে কংগ্রেসের তরফে ঋণের টাকা মকুব করে দেওয়া হয়। এখানেই আপত্তি তোলেন স্বামীর। তাঁর যুক্তি, কংগ্রেস রাজনৈতিক দল। তাদের কোনও কর দিতে হয় না। কোনও বাণিজ্যক সংস্থাকে ঋণ দেওয়াও তাদের এক্তিয়ারের বাইরে। সংবাদপত্রটির সম্পত্তি বিক্রি করে কেন কংগ্রেস নেতৃত্ব ঋণের টাকা মেটালেন না প্রশ্ন তুলে আদালতে অভিযোগ করেন, ঘুরপথে আয়কর মুক্ত পুরো টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন সনিয়া, রাহুল-সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy