সরকারের তৈরি শালবনি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল কেন জিন্দল গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুললেন চিকিৎসকেদেরই একাংশ। কয়েকটি চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস’-এর তরফে শনিবার শালবনিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়। মঞ্চের তরফে চিকিৎসক রেজাউল করিম বলেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, এটা হয়তো শুরু। এরপর হয়তো আরও হাসপাতাল এ ভাবে অন্য কাউকে দেওয়া হবে। এমনটা হলে সাধারণ মানুষ খুব সমস্যায় পড়বেন।’’
রেজাউলদের মতে, জিন্দলরা তো নিজেরাই এমন হাসপাতাল তৈরি করে নিতে পারেন। তাহলে কেন মানুষের করের টাকায় তৈরি হাসপাতাল তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে! জয়েন্ট প্ল্যাটফর্মের আরও দাবি, ইতিমধ্যে শালবনি হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। বেশি টাকা লাগবে, এই ভেবে অনেকে এখানে আসছেন না। চিকিৎসকেরা উদ্বিগ্ন। তা ছাড়া, হাসপাতালে যে সব অস্থায়ী কর্মী কাজ করছিলেন, সরকারি সিদ্ধান্তে তাঁদের ভবিষ্যৎও প্রশ্নের মুখে পড়েছে বলে দাবি জয়েন্ট প্ল্যাটফর্মের। রেজাউল বলেন, ‘‘আজ আমরা এখানে এসে প্রতিবাদ জানালাম, স্মারকলিপি দিলাম। কলকাতাতেও প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে।’’ চিকিৎসকদের স্মারকলিপি শালবনি থেকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে আসে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘ওই স্মারকলিপি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।’’ চলতি বছরের শুরুতে শালবনিতে জিন্দলদের সিমেন্ট কারখানার উদ্বোধনে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ছিলেন সজ্জন জিন্দলও। তখনই এই হাসপাতালের দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন জিন্দলরা। সম্মতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তী সময়ে জিন্দলকর্তারা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। সামাজিক দায়িত্ব পালনের প্রকল্পেই এই হাসপাতাল চালাবেন জিন্দলরা। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, এর ফলে চিকিৎসা পরিষেবার মানোন্নয়ন হবে। তৃণমূলের শালবনি ব্লক সভাপতি নেপাল সিংহের কথায়, ‘‘জিন্দলরা হাসপাতাল চালালে ভালই হবে। মানুষ আরও ভাল পরিষেবা পাবেন।’’ তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতিরও বক্তব্য, ‘‘এর ফলে এলাকার মানুষই উপকৃত হবে।’’ আর জিন্দল প্রকল্পে জমিদাতা সংগঠনের নেতা পরিষ্কার মাহাতো বলেন, ‘‘হাসপাতাল কেমন চলে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আশা করি, ভাল ভাবেই চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy