দু’বছরেও কামদুনি কেন কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের বিচার পেল না, সেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন স্তরে। সোমবার প্রসঙ্গটি উঠল রাজ্য বিধানসভাতেও।
সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান এ দিন বিধানসভায় উল্লেখ পর্বে বলেন, ‘‘কামদুনি আমাদের লজ্জা, আমাদের কলঙ্ক। কামদুনির ঘটনার দু’বছর হয়ে গেল। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি কথা দিয়েছিলেন, ১৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট দেওয়া হবে। রাস্তা হবে। আলো জ্বলবে। কিন্তু কিছুই হয়নি।’’
আনিসুরের বক্তব্যের মধ্যেই উঠে দাঁড়ান আইন ও বিচার দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘যদি কামদুনি আমাদের লজ্জা হয়, বানতলা, ধানতলা, বাসন্তী....এ-সব কি লজ্জা নয়? আপনারা কি এ-সব ভুলে গেলেন?’’
বিরোধী সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, কামদুনির ঘটনা নিয়ে পুলিশ চার্জশিট দিয়েছে, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। বিচার চলছে। বিচার প্রক্রিয়ায় দেরির জন্য সরকার দায়ী হতে পারে না।
বিধানসভায় এ দিনের মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের পক্ষে মৌসুমী কয়াল বলেন, ‘‘লজ্জা আরও আছে। কামদুনির মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করে পা দু’টি চিরে দেওয়া হয়েছিল সেটা লজ্জার। শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা ঘটনাটিকে সাজানো, ছোট্ট ঘটনা বলেছিলেন সেটাও লজ্জার।’’
লজ্জার তালিকা কত লম্বা, রীতিমতো ফিরিস্তি দিয়ে সেটা তুলে ধরেন কামদুনির প্রতিবাদী স্বর মৌসুমী। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তো এক মাসের মধ্যে সাজার কথা বলেছিলেন। কিন্তু দু’বছর পেরিয়ে গেল, কিছুই হল না। এটা লজ্জার। গ্রামের সমস্যার কথা বলায় আমাদের মতো ঘরের মেয়ে-বৌদের মাওবাদী বলা হয়েছিল। লজ্জা সেটাও। আমরা যখন আমাদের মেয়ের জন্য কষ্ট পাচ্ছি, তখন গ্রামে গিয়ে ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি দেওয়া, ফুটবল খেলা, খাওয়াদাওয়া, আনন্দোৎসব করাটাও একই রকমের লজ্জার ঘটনা।’’
কীসে লজ্জা কিছুটা ঢাকত, তারও হদিস দেন মৌসুমী। তাঁর মন্তব্য, বিচারপর্ব দ্রুত শেষ করে এত দিনে দোষীদের সাজা দেওয়া হলে সেটা রাজ্যের পক্ষে মঙ্গলজনক হত। তাতে লজ্জা কিছুটা হলেও কমত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy