নজরে মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা বৈদ্যুতিন যন্ত্র। —ফাইল ছবি।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর নজরে এ বার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা ডিজিটাল নথি। তাঁর থেকে পাওয়া একটি সিডিতে বেশ কয়েক জন টেট প্রার্থীর নাম ও ক্রমিক সংখ্যা মিলেছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই চাকরির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তা নিয়েই নতুন করে তদন্ত করছে ইডি।
মানিকের কাছ থেকে যে ডিজিটাল নথি মিলেছে, তার মধ্যে একটি সিডিতে ৬১ জন টেট প্রার্থীর নাম ও রোল নম্বর রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্যানেল দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই ৬১ জনের মধ্যে ৫৫ জনই নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিককে ডেকে পাঠায় ইডি। যে সময় তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল, তার বেশ কিছু ক্ষণ পরে তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজির হন। রাতভর চলে জেরা। বয়ানে অসঙ্গতি এবং তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে সোমবার রাতেই গ্রেফতার হন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাদের হাতে যে নথি জমা দিয়েছিলেন মানিক, তাতেও গরমিল রয়েছে। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালত ১৪ দিনের জন্য তৃণমূল বিধায়ক মানিককে ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন তিনি।
এর আগে হাই কোর্ট এই মামলায় তদন্তভার দিয়েছিল সিবিআইকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন মানিক। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত মানিককে কোনও ভাবেই গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। তবে টেট মামলায় সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্ট দিয়েছিল, তাতেও স্থগিতাদেশ দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত। এর মধ্যেই সোমবার রাতে মানিককে গ্রেফতার করে ইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy