Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪

খুনি ধরতে পুরুলিয়ায় দিল্লি পুলিশ

দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বাদলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তার বন্ধু বিপিন জোশীর (৩০) দেহ। বিপিন এবং বাদল সাকেতের একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি ও পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৭ ০১:২৬
Share: Save:

নিখোঁজ যুবকের টুকরো করা দেহ উদ্ধার হয়েছিল বন্ধুর বাড়ির ফ্রিজ থেকে। দিল্লির মেহরৌলি এলাকার ওই ঘটনায় বন্ধুকে খুনে অভিযুক্ত যুবক বাদল মণ্ডল আদতে পুরুলিয়ার বাসিন্দা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।

দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বাদলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তার বন্ধু বিপিন জোশীর (৩০) দেহ। বিপিন এবং বাদল সাকেতের একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন। ১০ অক্টোবর রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন বিপিন। শুক্রবার তাঁর পরিজনেরা নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে বাদলের বাড়ি গিয়ে টুকরো করা দেহ উদ্ধার করে। তবে বাদলকে পাওয়া যায়নি। মেহরৌলি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদলের বাড়ি থেকে একটি সচিত্র রেশন কার্ড উদ্ধার হয়। সেটি পুরুলিয়ার বলরামপুর থানার হাঁসপুর গ্রামের স্বপন সিংহের। বিপিনের পরিজনেরা সেই ছবি দেখে দাবি করেছেন, ওই ব্যক্তিকেই তাঁরা বাদল বলে চেনেন। ফলে, তদন্তকারীরা মনে করছেন, স্বপনই নাম ভাঁড়িয়ে দিল্লিতে ছিল। তদন্তকারীদের দাবি, বিপিনকে খুন করার দিন পনেরো আগে স্ত্রী ও মেয়েকে কলকাতা পাঠিয়ে দিয়েছিল বাদল। এই তথ্য থেকে তাঁদের ধারণা, ছক কষেই সে খুন করেছে। কিন্তু কেন খুন করল বাদল? প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, বাদল এবং বিপিনের ‘ঘনিষ্ঠতা’ ছিল। সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।

মেহরৌলি থানার পুলিশ সূত্রের দাবি, বাদল খুন করার পরেই দিল্লি ছেড়ে পালায়। পরে তার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন এক বারই পাওয়া গিয়েছে। সেটি কলকাতায়।

সেই সূত্র ধরে সোমবার সরাসরি হাঁসপুর গ্রামে পৌঁছয় মেহরৌলি থানার পুলিশের একটি দল। এই ব্যাপারে বলরামপুর থানাকে কিছু জানানো হয়নি।

ওই দলটিকে চিনতে না পেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ হেনস্থা করেন বলে তাঁদের দাবি। তবে দলটি স্বপন সিংহের হদিস পায়নি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, বাদল কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ বা নেপালে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে।

এ দিকে, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এ দিন বলরামপুর থানার পুলিশও হাঁসপুর গ্রামে গিয়েছিল। ওই থানার পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, সংবাদ মাধ্যমে ঘটনা জেনে গ্রামে গিয়েছিলেন। গ্রামে পুলিশ স্বপন সিংহ নামে এক জনের খোঁজ পায়। ওই ব্যক্তির মা বাড়িতে ছিলেন। তিনি দাবি করেন, প্রায় ষোলো বছর স্বপন ঘরছাড়া। প্রায় বছর পাঁচেক আগে সে একবার বাড়িতে এসেছিল কয়েক দিনের জন্য। তখন দিল্লির হোটেলে কাজ করে বলেও জানিয়েছিল। তার পরে আর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বলে মায়ের দাবি।

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Police murder Murderer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy