১০ মার্চ ধর্মঘটের ডাক এবং ডিএ-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সমাবেশ। রবিবার শহিদ মিনার ময়দানে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
অবিলম্বে বকেয়া ডিএ মেটানো-সহ একাধিক দাবিতে রবিবার শহিদ মিনারে সমাবেশ করল সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ১০ মার্চ ধর্মঘটের সমর্থনে এ দিন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী, রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির সদস্য রাহুল সিংহ, সিপিআই(এম এল) সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য প্রমুখ। সমাবেশে ভাল ভিড় হয়েছিল। তৃণমূল যদিও তা নিয়ে ‘ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়েছে’ বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে।
কৌস্তভ এ দিন বলেন, ‘‘ডিএ না দিয়ে সরকার প্রতারণা করছে। এই আন্দোলন কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তা বুঝতে পারছে না তৃণমূল সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে কোনও আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে আমি থাকব।’’ রাহুল বলেন, ‘‘সরকারি কর্মীদের ন্যায্য অধিকারের দাবির পাশে আছি।’’
রবিবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন ৩৮ দিনে ও অনশন ২৪ দিনে পড়ল। এ দিন সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ভাষ্কর ঘোষ। তাঁকে সল্টলেকের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগেও তিনি অনশন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ প্রথমে বাধা দেয়। পুলিশ অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড় করিয়ে রাখলেও আন্দোলনকারীরা এসএসকেএমে ভাস্করকে ভর্তি করতে চায়নি। পরে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে তাঁকে বিধাননগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, “১০ মার্চ সরকারি কর্মী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা যে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সেখানে কোথাও যদি সরকারি কর্মীদের গায়ে হাত পড়ে তা হলে আন্দোলন আরও বৃহত্তর হবে।’’
যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অবস্থানে গিয়ে তাঁদের দাবি এবং ধর্মঘটকে সমর্থনের কথা বলেছেন দীপঙ্কর। মঞ্চের আহ্বায়কদের চিঠি দিয়ে ১০ তারিখের ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছেন এসইউসি-র রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্যও। ওই ধর্মঘটের সমর্থনে এবং ৮ হাজার ২০৭টি স্কুল বন্ধ করার সরকারি ভাবনা ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এ দিন জেলায় জেলায় মিছিলও করেছে এসইউসি। বহরমপুরে মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন চণ্ডীবাবু।
যদিও ডিএ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যৌথ মঞ্চে বিরোধী নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “চিত্রনাট্যের দাবিতে অভিনয় হচ্ছে না। অভিনয়ের দাবিতে চিত্রনাট্য তৈরি হচ্ছে। ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে। সুবিধাবাদী জোট মানুষের সামনে চলে এসেছে। আর শাক দিয়ে মাছ ঢেকে রাখা যাচ্ছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy