হাওয়া অফিসের আশঙ্কা, মহা ঘূর্ণিঝড়ে সব চেয়ে ক্ষতি হতে পারে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার। দেশ জুড়ে চতুর্থ দফার লকডাউনের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কী কী সতর্কতা নেবেন? দেখে নিন। রাজ্য সরকার এই মর্মে জারি করেছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে হেল্পলাইন নম্বর ১০৭০। (ফাইল চিত্র)
আবহবিদদের আশঙ্কা, আমপানের হামলা বেশি তীব্র হবে বাংলায়। স্থলভাগে প্রবেশের সময় উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ১৬৫-১৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে। ঝড়ের গতিবেগ স্বল্প সময়ের জন্য ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তীব্র। তাই আগে থেকেই মোবাইলে যথেষ্ট পরিমাণে চার্জ দিয়ে রাখুন। (ফাইল চিত্র)
বুধবার বিকেলের পর থেকে কলকাতা-সহ উপকূলের জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় এবং অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। ভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। উপকূলে তিন থেকে ছয় মিটার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ফলে সময় থাকতেই সঙ্গে থাকা জরুরি নথিপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র সুরক্ষিত করুন। এমন ভাবে রাখুন, যাতে জলে ভিজে সেগুলি নষ্ট না হয়ে যায়। (ফাইল চিত্র)
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার মালদহ ও দুই দিনাজপুরে বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি বা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে সব জেলাতেই। আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে অত্যাবশ্যকীয় জিনিস, খাবার, ওষুধ, জল ও পোশাক প্রস্তুত রাখুন। সুরক্ষিত রাখুন আপনার বাড়িকেও। ধারালো কোনও জিনিস খোলা অবস্থায় ফেলে রাখবেন না। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাঁধনমুক্ত রাখুন পোষ্যদের। (ফাইল চিত্র)
বাড়ির সব দরজা, জানালা বন্ধ রাখুন। খড়ের ঘর, কাঁচা বাড়ি বা জীর্ণ ও বিপজ্জনক পাকা বাড়িতে থাকবেন না । যদি আপনার বাড়ি সুরক্ষিত না হয়, আগেই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র বা নিকটবর্তী পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিন। প্রাণহানি ঠেকাতে কলকাতার সব থানাকে নিজের এলাকার জরাজীর্ণ বাড়ির তালিকা তৈরি করতে বলেছে লালবাজার। রাজ্যের সব চিড়িয়াখানাকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন রাজ্যের জ়ু অথরিটি। (ফাইল চিত্র)
তবে, আমপানের অশনিসঙ্কেতেও সতর্ক থাকুন করোনাভাইরাস নিয়ে। সবসময় মাস্ক পরুন। ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন । যদি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র বা অন্যান্য সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হয়, সেখানেও অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন। পাশাপাশি, করোনা সংক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জারি করা অন্যান্য নির্দেশও মেনে চলার জন্য সরকারের তরফে আবেদন করা হয়েছে। (ফাইল চিত্র)
কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই প্রশাসনকেই উদ্বেগে ফেলেছে আমপান। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডিজি এসএন প্রধান জানান, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য মোট ৩৭টি বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানোর সময় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। (ফাইল চিত্র)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের। পাশাপাশি, এনডিআরএফ, এসডিআরএফের দল প্রস্তুত আছে। নবান্নেও দিনরাত উপস্থিত থাকবেন প্রশাসনিক কর্তারা। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনে ঝড়ের বিপদ সামাল দেওয়ার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির বিষয়ে পদস্থ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল চিত্র)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy