প্রতীকী ছবি।
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলের পরে বিজেপিকে ঘিরে উৎসাহ কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ‘ঘরে বসে’ এই পরিস্থিতির ফায়দা তোলার আশা করা ভুল। তাই সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের সঙ্গে জড়িত দাবি-দাওয়া নিয়ে পথে নেমে লড়াই চালানোর নিদান দিল সিপিএমের রাজ্য কমিটি।
আলিমুদ্দিনে শুক্র ও শনিবার ছিল সিপিএমের রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠক। তার শেষ দিনে জবাবি ভাষণে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, রাজ্যের নানা প্রান্তে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে তৃণমূল জমানার বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে। কিছু দিন ধরেই এই অসন্তোষের ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছিল বিজেপি। পাঁচ রাজ্যে ধাক্কা খাওয়ার পরে এখন তাদের ঘিরেও উৎসাহ কম। এই অবস্থায় মানুষের রুটি-রুজি, ভাতা বাড়ানো বা কর্মসংস্থানের দাবি নিয়ে বামেদের পথে থাকতে হবে। যাতে মানুষ বুঝতে পারেন রথযাত্রার মতো জিগির তোলার কর্মসূচিতে বামেরা নেই। এই লক্ষ্যেই ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন সূর্যবাবু। সামনে দু’দফায় উত্তরকন্যা অভিযান, সাধারণ ধর্মঘট এবং ব্রিগে়ড সমাবেশ ঘিরে সংগঠনকে চাঙ্গা রাখতে চাইছেন তাঁরা।
দলীয় সূত্রের খবর, রথযাত্রা ঘিরে আদালতে টানাপড়েনের প্রসঙ্গ তুলে সূর্যবাবু বৈঠকে বলেছেন, বিজেপি ও তৃণমূল দু’পক্ষই বিষয়টি জিইয়ে রাখতে চায় নিজেদের স্বার্থে। মানুষের মনোযোগ তারা ঘোরাতে চাইলেও বামেদের কাজ হবে নিত্যদিনের সমস্যা নিয়ে লড়াই করে জনসংযোগ তৈরি করা। এই কারণেই দলের শাখা স্তরের সংগঠনের শিথিলতা চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলির মতো কয়েকটি জেলার নেতারা বৈঠকে জানিয়েছেন, কিছু এলাকায় সেই ২০১১-১২ সাল থেকে দলের কার্যালয় বন্ধ। স্থানীয় স্তরে রাজনৈতিক কর্মসূচিও স্তব্ধ ছিল। গত কয়েক মাসে এই রকম কিছু জায়গায় দল আবার কার্যালয় খুলে রাজনৈতিক কাজকর্ম শুরু করেছে। এই উদ্যম ধরে রাখার কথা বলেছেন রাজ্য নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy