ফাইল চিত্র।
বাঙালির পায়ের তলার সর্ষে বেশি সুড়সুড়ি দেয় পুজো-মরসুমে। কিন্তু বেড়াতে যাওয়ার প্রবণতায় এ বছর বাদ সেধেছে অতিমারি। আনলক-৫ পর্বে গতিবিধি অনেকটা নিয়ন্ত্রণমুক্ত হলেও বড়সড় ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে সাহস পাচ্ছেন না অনেকেই। তাই চাহিদা বাড়ছে স্বল্প দূরত্বের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, প্রাক্-করোনাকালের চেয়ে এখন অনেক বেশি হারে বুকিং বাড়ছে সরকারি আবাসে। এতে লাভের আশা দেখা দিলেও বাড়তি সতর্ক থাকতে হচ্ছে পর্যটন দফতরকে।
সরকারি হিসেবে সাধারণ ভাবে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটনের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। কিন্তু গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে পর্যটন আবাসগুলিতে বুকিংয়ের তেমন চাহিদা দেখা যায়নি। মার্চে কোভিড-আঁচ লেগেছিল দেশ তথা রাজ্যে। এপ্রিল থেকে বুকিং বাতিল হতে শুরু করে। লকডাউন পর্বে সব ধরনের পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ ছিল। তবে নিয়ন্ত্রণমুক্তির পরেই, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পর্যটন দফতরের বিভিন্ন আবাসে বুকিংয়ের চাহিদা চড়তে শুরু করে, যা কোভিড-পূর্ববর্তী সময়ের থেকে বেশি।
জলদাপাড়া, দার্জিলিং, ডায়মন্ড হারবার, বকখালি, মাইথন, শান্তিনিকেতন, দিঘার মতো কম দূরত্বের পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের চাহিদা দেখে বাড়তি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে হচ্ছে প্রশাসনকে।
আরও পডুন: কোভিড টিকা এলেই নিশ্চিন্ত? আশার কথা শোনাতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা
আরও পডুন: ১০ মাসে ১০ মামলা, সিবিআইয়ের পর বঙ্গে সক্রিয় এনআইএ-ও
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনা শুরুর আগে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে জলদাপাড়ায় পর্যটন দফতরের আবাসে বুকিং ছিল ৩০%। সেপ্টেম্বর-আক্টোবরে তা ৪৬% পেরিয়ে গিয়েছে। একই সময়সীমায় দার্জিলিঙের মর্গান হাউসে বুকিং ২১% থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫%। ডায়মন্ড হারবারের সাগরিকায় বুকিং ৩৭% থেকে ৪৮% হয়েছে। বকখালিতে ছিল ২২%, এখন তা ৭৬%। মাইথনের মুক্তধারায় বুকিং ৪১% থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৭%। হলংয়ে ১০০% বুকিং হয়ে গিয়েছে।
উৎসবের মরসুমে সব গতিবিধি নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখলেও সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন। ফলে এক দিকে কোভিড-শয্যা বাড়ানো হচ্ছে, বাড়তি জোর পড়ছে চিকিৎসা পরিকাঠামো ও ব্যবস্থাপনার উপরে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের আবাসগুলির ব্যবস্থায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না পর্যটন দফতর। সংশ্লিষ্ট কর্তারা জানাচ্ছেন, থার্মাল-গানের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা প্রাথমিক ভাবে যাচাই করে তবেই আবাসে ঢুকতে দেওয়া হবে। কোভিড সুরক্ষা বিধি কঠোর ভাবে মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন ভ্রমণার্থীরা। আবাস-কর্তৃপক্ষও প্রতিনিয়ত জীবাণুনাশের ব্যবস্থা করবেন। গাড়ি-নির্ভরতা কমাতে রাঙাবিতান, টিলাবাড়ি এবং জলদাপাড়ায় সাইকেল পরিষেবা চালু করা হয়েছে। পর্যটকেরা সাইকেলে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। “সাধারণত, নিজস্ব গাড়িতেই পর্যটকেরা ওই সব জায়গায় যাচ্ছেন। ফলে অনেকের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা এমনিতে কম থাকছে। কোভিড সুরক্ষা বিধি কঠোর ভাবে প্রয়োগ করে সংক্রমণের সম্ভাবনা রোখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে,” বলেন পর্যটন দফতরের এক কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy