অহিদুল ইসলাম। —ফাইল চিত্র।
ফের করোনার শিকার আরও এক রাজনীতিক। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা অহিদুল ইসলাম। বয়স হয়েছিল ৫০।
পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ মৃত্যু হয় অহিদুলের। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ভাঙড়ের রাজনৈতিক মহল। মাত্র ১৮ দিন আগেই হৃদ্রোগে মারা যান ভাঙড়ের আর এক তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেন।
তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন অহিদুল। ভাঙড়-২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন তিনি। ভাঙড়-২পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত বিভাগের কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বও সামলেছেন।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে ভাঙড় বিধানসভার কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রেজাউল করিমের নির্বাচনী এজেন্ট হিসাবেও কাজ করেছিলেন। দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গোটা এলাকা চষে বেড়িয়েছেন। তবে দিন দশেক আগে তাঁর জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা যায়। করোনা পরীক্ষায় অহিদুলের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর পর তাঁকে কলকাতার ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন অহিদুল। সন্ধ্যা নাগাদ সেই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।
অহিদুলের মৃত্যুর খবর চাউর হতেই শোকের ছায়া নেমে আসে ভাঙড়ে। তৃণমূল প্রার্থী রেজাউল বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অহিদুল। আমাদের নিকটাত্মীয়ের মতো ছিলেন নান্নু’দা আগেই চলে গিয়েছিলেন। এ বার অহিদুলও চলে গেল।”
প্রসঙ্গত, করোনায় মৃত্যু হয়েছিল সামশেরগঞ্জের সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ওরফে মন্টু বিশ্বাসের। তার পরদিনই মারা যান জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দী। এর পর মালদহের বৈষ্ণবনগর কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী সমীর ঘোষ এবং খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহও করোনা সংক্রমণে মারা যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy