প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে গরিব মানুষের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠল বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিকাশ সিংহ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। দলের রাজ্য যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে ওই অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপির বসিরহাট জেলা নেতৃত্বের একাংশ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার যে ফর্মে শহরের গরিব মানুষের বাড়ি পাওয়ার কথা, বিকাশবাবু তা বসিরহাটের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের দিয়ে পূরণ করিয়েছেন। গরিব গ্রামবাসীদের দলীয় কার্যালয়ে ডেকে এনে ওই প্রকল্পে বাড়ি পাওয়ার ‘মিথ্যা’ স্বপ্ন দেখিয়ে তাঁদের থেকে টাকাও তুলেছেন। সুব্রতবাবুকে চিঠিটি দিয়েছেন বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদক এবং ওই জেলার দলীয় মোর্চা ও সেলের কয়েক জন নেতা। চিঠিতে তাঁরা অভিযোগ করেছেন, প্রায় ২০ হাজার মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে। টাকার পরিমাণ— মাথাপিছু ২২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এই নিয়ে জেলার বৈঠকে প্রশ্ন তোলায় দলের জেলা কার্যালয়ে বিকাশবাবু তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলেও তাঁদের অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতে উপযুক্ত তদন্ত করে বিকাশবাবু এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুব্রতবাবুকে অনুরোধ করেছেন অভিযোগকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, বিকাশবাবুর এই কাণ্ডে জেলায় দলের মুখ পুড়েছে। অচিরে দলের ভাবমূর্তি উদ্ধার করা না গেলে পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক ভাবে অনুকূল পরিবেশ থাকলেও বসিরহাটে বিজেপি মানুষের সমর্থন পাবে না।
বিকাশবাবু বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ফর্ম ফিল-আপ হয় তথ্যমিত্র কেন্দ্রে। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।’’ তাঁর দাবি, দলের কয়েক জন জেলার বৈঠকে আসেন না। তাঁদের তিনি শো-কজ করেছেন। তাঁরাই আক্রোশ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ‘বানানো অভিযোগ’ করছেন বলে বিকাশবাবুর দাবি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘অভিযোগ আমিও পেয়েছি। তবে তাতে আদৌ বিজেপি জড়িত, না অন্য কেউ করেছে— সেই ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy