রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র চেয়ারপার্সন বদল নিয়ে শিক্ষা দফতরের একটি নির্দেশিকা ঘিরে আলোড়ন উঠেছে। নির্দেশিকায় বর্তমান চেয়ারপার্সন শর্মিলা মিত্রকে সরিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানিয়ে দেন, কমিশনের চেয়ারপার্সন বদল হয়তো হবে, তবে ওই পদে সুবীরেশবাবু আসবেন না। সে ক্ষেত্রে নতুন কাউকে ওই পদে আনার ইঙ্গিত পার্থবাবুর বক্তব্যে স্পষ্ট।
প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে এমন নির্দেশিকা বেরোল কেন? নাকি নির্দেশিকা বেরোনোর আগে মন্ত্রী এ সম্পর্কে জানতেন না? সে ক্ষেত্রে কোথা থেকে, কে এই নির্দেশিকা জারি করতে বললেন? শিক্ষা দফতর সূত্রে এর জবাব মেলেনি। তবে ঘটনাটি যে নজিরবিহীন তা মেনে নিয়েছেন বিকাশ ভবনের কর্তাদের একাংশ।
শিক্ষামন্ত্রীর দাবিমতো যত ক্ষণ না ওই নির্দেশ কাগজে-কলমে বদলাচ্ছে, তত ক্ষণ সুবীরেশবাবুই পরবর্তী চেয়ারপার্সন হিসেবে গণ্য হবেন। সরকারি নির্দেশে শর্মিলাদেবীকে অবিলম্বে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সুবীরেশবাবু দায়িত্ব নিতে আসেননি, শর্মিলাদেবীও পদ ছাড়েননি।
শর্মিলাদেবীর আগে সুবীরেশবাবুই ছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারপার্সন। ২০১৫ সালে তাঁর আমলেই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে। কয়েক মাস আগে বেহালা কলেজের অধ্যক্ষ শর্মিলাদেবীকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে কমিশনের প্রধান করা হয়। আর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে যোগ দেন সুবীরেশবাবু।
এসএসসি-র চেয়ারম্যান বদলের সেই নির্দেশিকা।
এত কম সময়ের মধ্যে শর্মিলাদেবীকে সরানোর প্রয়োজন হল কেন? সূত্রের খবর, তাঁর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার এবং শাসক দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠছিল। যদিও এই বক্তব্য নস্যাৎ করে সরকারের একাংশের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশন একটি স্বশাসিত সংস্থা। সেখানে সরকার বা শাসক দলের নাক গলানোর প্রশ্নই ওঠে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy