প্রথমেই বলব, ছিঃ! এক সাংসদের মুখে, বিশেষত কোনও অভিনেতার মুখে এ রকম অশালীন বক্তব্য আশাই করতে পারি না। এই কি সেই ‘দাদার কীর্তি’র নায়ক? যাঁকে আমাদের খুব ভাল লেগেছিল? সরল, সাদাসিধে, ভাল মানুষ মনে হয়েছিল? তিনিই রাজনীতি করতে গিয়ে নিজেকে ‘মাল’ বলছেন! ‘রেপ’ করাবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন! শুনতেও কষ্ট হয়। আমরা এই তৃণমূলকে চেয়েছিলাম! সিপিএমের দৌরাত্ম্য, হুমকিবাজি, দলতন্ত্র এ সব থেকে মুক্তি চেয়েছিলাম। আমি নিজেই তো পরিবর্তনপন্থী ছিলাম। কিন্তু এ কী পরিবর্তন? দলতন্ত্র চূড়ান্ত অবস্থায় চলে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের কেউ ধার ধারে না। এ কোন বাংলায় আছি আমরা? মমতাদেবীর কাছে অনুরোধ, তিনি অবিলম্বে এই সমস্ত সাংসদ-বিধায়ক- মন্ত্রী-নেতানেত্রীকে সংযত হতে বলুন। জনগণ সব দেখেন, সব শোনেন। তাঁদের বোকা ভাবার কারণ নেই।
এ কথা ঠিক, বাংলায় বিরোধী দল তেমন শক্তিশালী নয়। সিপিএম প্রায় মুছে গিয়েছে। কংগ্রেস, বিজেপিরও তেমন দাপট নেই। সেখানে একনায়কতন্ত্র হয়তো স্বাভাবিক। ভয়াবহও বটে। এর পরিণাম কিন্তু মোটেই ভাল দিকে যাবে না।
মানুষের ভাল যাঁরা করতে এসেছেন, তাঁরা আগে নিজেদের তৈরি করে নিন। দয়া করে কথায় কথায় রিভলভার, বন্দুক দেখাবেন না। এতে আপনাদেরই ক্ষতি। আপনাদের দলেই উচ্ছৃঙ্খলতা বাড়বে! আর মানুষ সহ্য করতে করতে এক সময় কিন্তু প্রতিবাদ করবেই। যে রকম ভাবে ৩৪ বছরের অপশাসন মানুষই ভেঙে দিয়েছিল। আমি রাজনীতি করি না। তবে সাধারণ বুদ্ধিতেই এটুকু বুঝতে পারছি।
আমরা চাই তৃণমূল মানুষের মঙ্গল করুক। কথায় কথায় বোমা-বন্দুক না-ই বা দেখালেন! আর ভাষা সংযত করা দরকার। সিপিএম এক কালে যে অসভ্য ভাষা প্রয়োগ করত, সে ভাষায় তৃণমূল কেন কথা বলে? আমরা কিন্তু ভয় পাচ্ছি। ভীষণ ভয় পাচ্ছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy