চার বার ডাকার পরেও পবন রুইয়া সাড়া না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শুক্রবার জানাল সিআইডি।
এ দিকে জেসপে আগুন লাগার পরে এ দিনই প্রথম সিআইডি অফিসারদের সঙ্গে ওই কারখানা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রেলের আধিকারিকেরা। ওয়াগন তৈরির জন্য ধুঁকতে থাকা জেসপকে বছর কয়েক আগে ৫০ কোটি টাকার সামগ্রী দিয়েছিল রেল।
এ দিন পরিদর্শন শেষে রেলের অফিসারেরা কারখানার বাইরে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, রেলের দেওয়া সামগ্রীর সিংহভাগই নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। প্রচুর জিনিসপত্র বাক্সবন্দি অবস্থাতেই নষ্ট হয়েছে। কোথাও যন্ত্রাংশ পুড়ে গিয়েছে। রেলের চাকা, গিয়ার বক্স, ব্রেকের যন্ত্রপাতি-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেন তাঁরা। সিআইডি অবশ্য জানায়, রেল কর্তৃপক্ষ এখনও তাদের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। রেল লিখিত অভিযোগ দিলেই নতুন করে মামলা চালু করবে বলেই জানিয়েছে সিআইডি। শুধু কারখানার কোথায় কী মালপত্র রাখা ছিল, তার একটি তালিকা এ দিন সিআইডি-কে দিয়েছে রেল।
জেসপ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে বোর্ড অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ফিনানশিয়াল রিকনস্ট্রাকশন (বিআইএফআর)-কে চিঠি দিল সিআইডি। পুলিশের দাবি, জেসপ কর্তৃপক্ষ তথা পবন রুইয়াদের তরফে তদন্তে সাহায্য না পেয়ে তাঁরা বিআইএফআর-এর দ্বারস্থ হয়েছেন।
১৭ অক্টোবর জেসপে আগুন লাগে। অভিযোগ, এর পর থেকে রুইয়া সিআইডি-র সঙ্গে এক বারও দেখা করতে আসেননি। পুলিশের দাবি, রুগ্ণ শিল্প হওয়ায় রুইয়া গোষ্ঠীর অধিগ্রহণের আগে জেসপ ছিল বিআইএফআর-এর অধীনে। পুলিশের ধারণা, বিআইএফআর-এর কাছে জেসপ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
কারখানায় ওয়াগন আর রেলের কামরার কাঠামোও পড়ে। কর্মীদের দাবি, রেল ৫০ কোটি টাকা দেওয়ার পরে তাঁরা নতুন করে জেসপকে ঘিরে স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু ট্রেন আর বেরোয়নি। ৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশের পরিণতি জানতে চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে গত মাসে রেল কর্তৃপক্ষ চিঠিও দেন। শুক্রবার সিআইডির সঙ্গে রেলের আধিকারিকেরা জেসপের কোচ ওয়ার্কসে পৌঁছে যান। সেখানেই রেলের সব কাজ হতো। কয়েক মাস আগে সেখানেও আগুন লেগেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy