ফাইল চিত্র।
অতিমারি আবহে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ে রাজ্যগুলি কী ভাবছে, ২৫ মে অর্থাৎ কাল, মঙ্গলবারের মধ্যে তা জানাতে বলল কেন্দ্র। তার পরে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জুনের প্রথম সপ্তাহে।
রবিবার কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাসচিব এবং রাজ্যের বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এটাই ঠিক হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে ওই বৈঠক চলে বিকেল ৬টা পর্যন্ত চলে। এ দিনের বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক, কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, স্মৃতি ও জাভড়েকর এক সময় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সামলেছেন, তাই তাঁদেরও এই বৈঠকে থাকতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, পরীক্ষা দু’টি পদ্ধতিতে নেওয়া যেতে পারে। প্রথমত, শুধু দ্বাদশ শ্রেণির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির পরীক্ষা নিয়ে মূল্যায়ন করা হোক। বাকি বিষয়গুলির মূল্যায়ন হোক স্কুলের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে। অথবা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে পরীক্ষার্থী যত নম্বর পাবেন, তার উপরে নির্ভর করে অন্য বিষয়গুলির নম্বর দেওয়া হোক।
দ্বিতীয়ত, সব বিষয়েরই পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। তবে পরীক্ষার সময়সীমা তিন ঘণ্টার পরিবর্তে কমিয়ে দেড় ঘণ্টা করা হোক। পরীক্ষা হোক ছোট প্রশ্নের ভিত্তিতে।
বেশ কিছু রাজ্য দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে মত দিলেও কোনও কোনও রাজ্যের মতে, করোনার মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া অনুচিত। মহারাষ্ট্র রয়েছে সেই তালিকায়। দিল্লি সরকার জানিয়েছে, পরীক্ষা যদি হয়, তা হলে সব পরীক্ষার্থীকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। ছত্তীসগঢ় সরকার ১ জুন পরীক্ষা শুরু করতে চায়। তবে পড়ুয়ারা পরীক্ষা দেবেন বাড়িতে বসে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর বাড়িতে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পৌঁছে দেবে সেখানকার বোর্ড। তার পরে পাঁচ দিনের মধ্যে সেই প্রশ্নের উত্তর লিখে পরীক্ষার্থীকে উত্তরপত্র জমা দিতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ দিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে ছিলেন না। ছিলেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস।
ব্রাত্যবাবু আগেই জানিয়েছিলেন, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে সংক্রমণ কমলে। এ দিনের বৈঠকেও সেই মতামত দেওয়া
হয়। বৈঠকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা ছাড়াও জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন ও জয়েন্ট এন্ট্রাস অ্যাডভান্স পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সম্ভবত ওই দু’টি পরীক্ষাও পিছিয়ে দেওয়া হবে।
করোনা দাপটের মধ্যে পরীক্ষা কী করে হবে, প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। তিনি টুইট করে জানান, দেখা যাচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ছোটরাও সুরক্ষিত নয়। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষার কথা আলোচনা করে এদের নিরাপত্তা নিয়ে ছেলেখেলা করা হচ্ছে। এই সময় মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার-সহ সমস্ত রকম সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে তিন ঘণ্টার পরীক্ষা দিলে পরীক্ষার্থীদের উপরে মানসিক চাপ পড়বে, যা একেবারেই কাম্য নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy