Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে রাজ্যকে কড়া বার্তা কমিশনের

ফি-ভোটেই এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠে। গত লোকসভা ভোটে যা মাত্রা ছাড়িয়েছিল বলে মনে করেন বিরোধীরা। এ বার তাই ভোট প্রক্রিয়ার গোড়া থেকেই বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে রাজ্যকে কড়া বার্তা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এবং তা আঁচ করেই ঝুঁকি এড়িয়ে চলছেন থানার ওসি-রা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ‘রুট মার্চ’ করানোর পাশাপাশি তার ভিডিও পাঠিয়ে দিচ্ছেন রাজ্য পুলিশের ‘ইলেকশন সেল’-এ। সপ্তাহান্তে ওই ভিডিও জমা পড়ছে কমিশনে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৬ ২০:২১
Share: Save:

ফি-ভোটেই এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠে। গত লোকসভা ভোটে যা মাত্রা ছাড়িয়েছিল বলে মনে করেন বিরোধীরা। এ বার তাই ভোট প্রক্রিয়ার গোড়া থেকেই বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে রাজ্যকে কড়া বার্তা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এবং তা আঁচ করেই ঝুঁকি এড়িয়ে চলছেন থানার ওসি-রা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ‘রুট মার্চ’ করানোর পাশাপাশি তার ভিডিও পাঠিয়ে দিচ্ছেন রাজ্য পুলিশের ‘ইলেকশন সেল’-এ। সপ্তাহান্তে ওই ভিডিও জমা পড়ছে কমিশনে।

কেবল তা-ই নয়, কবে কোথায় রুট মার্চ হচ্ছে, থানার কোন অফিসারের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিচ্ছে, তা-ও থানার নথিতে জেনারেল ডায়েরি করে রাখছেন ওসি-রা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক ওসি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার জেলার ক্রাইম কনফারেন্সে পদস্থ কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, কমিশনের নির্দেশ মানতে হবে অক্ষরে অক্ষরে।’’ মঙ্গলবারই দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্স করে উপ-নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনা জানিয়ে দেন, বাহিনীকে বসিয়ে রাখলে তার দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে। সে ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেও কসুর করবে না কমিশন।

আরও পড়ুন- ঋতুপর্ণা বিজেপি প্রার্থী? জল্পনায় জল ঢাললেন নায়িকাই

কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারির ফিরিস্তি দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশকে প্রতি দিনের নির্বাচন সংক্রান্ত কাজকর্মের ফর্দ পেশ করতে হচ্ছে কমিশনে। গত লোকসভা ভোটে রাজনৈতিক সংঘর্ষের সূত্রে যে সব মামলা হয়েছিল, সেগুলির বর্তমান অবস্থা, ভোটারদেরকে ভয় দেখানোর অভিযোগ এসে থাকলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কতগুলি গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর হয়েছে, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের সংখ্যাই বা কত— এ রকম ২০টি বিষয়ে প্রতি দিন রিপোর্ট পাঠাতে হচ্ছে থানাগুলিকে।

কমিশনের কাছে বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশকে ঠুঁটো করে রাখায় দুষ্কৃতীরা লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছে। গত চার বছরে রাজ্যে যে ক’টি ভোট হয়েছে, সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি করেছে শাসক দল। বিধাননগরে পুর নির্বাচনে যে ভাবে পুলিশের উপস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি— তার ছবিও কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছে বিরোধীরা। পাশাপাশি, রাজনৈতিক সংঘর্ষের উপরে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা রিপোর্টও কমিশন খতিয়ে দেখেছে। প্রশাসনের একাংশ বলছেন, গত ছ’-আট মাসের পরিস্থিতি বিচার করে ভোট প্রক্রিয়ার শুরু থেকে কড়া পদক্ষেপ করতে চাইছে কমিশন। পুলিশকে দিন-ওয়ারি আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট দিতে বলা তারই অঙ্গ।

অন্য বিষয়গুলি:

central force wb ec strong message
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE