গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে নিউ টাউনের যে আবাসনে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে একটি সবুজ ট্রলি দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেই ট্রলিতেই সাংসদের দেহাংশ ভরে নেওয়া হয়েছিল।
আবাসনের ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বাঁ দিকের একটি ঘর থেকে ট্রলি নিয়ে বেরোচ্ছেন এক অভিযুক্ত। ডান দিকে লিফ্টের বোতাম টিপে অপেক্ষাও করেন তিনি। সঙ্গে আরও এক জন ছিলেন। তাঁর হাতে আরও তিনটি ছোট ছোট ব্যাগ ছিল। লিফ্ট এলে তাতে ট্রলি নিয়ে উঠে পড়েন দু’জনই।
ওই ফুটেজেই অন্য একটি দৃশ্যে দেখা গিয়েছে, তিন জন বাঁ দিকের ঘরটিতে ঢুকছেন। ঘরে ঢোকার আগে জুতো খুলে রেখে দিচ্ছেন দরজার পাশের জুতো রাখার তাকে। এই ফুটেজে খুনের অন্যতম অভিযুক্ত আমানোল্লাকে দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ ইতিমধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়াও ফুটেজে দেখা গিয়েছে কসাই জিহাদ হাওলাদারকে। মুম্বই থেকে তাঁকে ডেকে এনেছিলেন অভিযুক্তেরা। তাঁকে বৃহস্পতিবার বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
জিহাদকে শুক্রবার সকালে বারাসত আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আদালত তাঁকে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে।
গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য। উঠেছিলেন বরাহনগরের এক বন্ধুর বাড়িতে। দু’দিন পর সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। সিআইডি জানতে পেরেছে, মধুচক্রের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এক মহিলার ফাঁদে ফেলে তাঁকে নিউ টাউনের আবাসনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই খুন করা হয় তাঁকে। ধৃত কসাই গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, তিনি বাকিদের সঙ্গে মিলে খুনের পর সংসদ সদস্যের দেহ টুকরো টুকরো করে কাটেন। তার পর ছাল ছাড়িয়ে হলুদ মাখানো হয় তাতে। পরে সেগুলি বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
নিউ টাউনের ওই আবাসনে মিলেছে রক্তের দাগ এবং গ্লাভ্সের খালি প্যাকেট। প্রমাণ লোপাটের জন্যই গ্লাভ্স ব্যবহার করা হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বাংলাদেশ পুলিশ ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। সিআইডির একটি দল ধৃতদের জেরা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশে পৌঁছয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy