Advertisement
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
Bangladesh MP Death

ধৃত কসাইকে আদালতে নিয়ে গেল সিআইডি, ‘কেন খুন করলেন?’ জিহাদকে দেখে প্রশ্ন কোর্ট চত্বরে

সিআইডি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করার পর জিহাদকে ভাঙড়ের একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আজিমকে খুনের পর সেখানেই দেহাংশ ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু দেহাংশ মেলেনি।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৪ ১২:৫৩
Share: Save:

বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জিহাদ হাওলাদারকে। তিনি পেশায় কসাই। শুক্রবার সকালে তাঁকে নিয়ে আদালতে গিয়েছে সিআইডি। জিহাদকে বারাসত আদালতে হাজির করানো হয়েছে। সেখানে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে চাইবেন গোয়েন্দারা।

বারাসত আদালতে জিহাদকে হাজির করানো হলে তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকেরা। একটাই প্রশ্ন উড়ে আসতে থাকে চারদিক থেকে, ‘‘কেন মারলে?’’ জিহাদের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে তিনি আদালতে ঢুকে যান। কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি।

সিআইডি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করার পর জিহাদকে ভাঙড়ের একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আজিমকে খুনের পর সেখানেই দেহাংশ ফেলা হয়েছে বলে জেরায় উঠে এসেছে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে সেখান থেকে কোনও দেহাংশই মেলেনি। তাই শুক্রবার জিহাদকে দেহাংশ উদ্ধারের প্রয়োজনেই হেফাজতে চাইতে পারে সিআইডি।

গোয়েন্দারা এখনও নিহত সাংসদের কোনও দেহাংশ খুঁজে পাননি। ফলে ধৃতদের জেরা করে যা তথ্য মিলেছে, তার উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে তদন্তকারীদের। এ ক্ষেত্রে, অভিযুক্তেরা কোনও ভাবে তদন্তকারীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। সেই সূত্রেই জিহাদকে হেফাজতে প্রয়োজন। সত্য উদ্ঘাটনের স্বার্থেই তাঁকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চাওয়া হতে পারে।

সিআইডি সূত্রে খবর, হানিট্র্যাপের শিকার হয়েছিলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য। শিলাস্তি রহমান নামের এক মহিলাকে সামনে রেখে তাঁকে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিউ টাউনের ওই আবাসনে। তার পর সেখানে তাঁকে খুন করা হয়। ধৃত জিহাদের বিরুদ্ধে খুনের জন্য অপহরণ, তথ্য নষ্ট করা, ভুল তথ্য দেওয়া, খুন এবং অপরাধের চক্রান্ত করার ধারা যোগ করা হয়েছে।

এই ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিআইডির একটি দল বৃহস্পতিবারই ঢাকায় গিয়েছে। ধৃতদের সেখানেও জেরা করা হবে। সিআইডি জানতে পেরেছে, খুনের অন্তত দু’মাস আগে মুম্বই থেকে কলকাতায় আনা হয়েছিল কসাই জিহাদকে। তিনি জেরার মুখে স্বীকার করেছেন, প্রথমে আজিমকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়। তার পর দেহ কাটা হয় টুকরো টুকরো করে। হাড় এবং মাংস আলাদা করা হয়। চামড়া ছাড়িয়ে নিয়ে তাতে হলুদ মাখান অভিযুক্তেরা। যাতে বাইরে কেউ জিজ্ঞেস করলে বলা যায়, রান্না করার জন্য মাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই দেহাংশ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত, কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড, তা জানতে জিহাদকে হেফাজতে চাওয়া হতে পারে।

অন্য বিষয়গুলি:

Bangladesh MP Death Md. Anwarul Azim Anar CID Barasat court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy