Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

সোমবার আবার তলব সুলতানকে

সিবিআইয়ের কলকাতা অফিসে হাজিরা দেওয়ার জন্য সুলতানকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু সাংসদ হাজির হননি। আইনজীবীর চিঠি পাঠিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, সাংসদ হিসেবে তাঁর পূর্বনির্ধারিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। সেই জন্য তিনি হাজির হতে পারছেন না। সিবিআই সূত্রের খবর, এ দিন সুলতানকে ফের নোটিস পাঠিয়ে ৩ জুলাই হাজির হতে বলা হয়েছে।

সুলতান আহমেদকে ৩ জুলাই তাদের দফতরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই।

সুলতান আহমেদকে ৩ জুলাই তাদের দফতরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ০৫:১৫
Share: Save:

দাদা আর ভাই দু’জনেই তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি। দাদা সাংসদ আর ভাই বিধায়ক ও শহর কলকাতার ডেপুটি মেয়র। এবং দু’জনেই নারদ মামলায় অভিযুক্ত। ভাইয়ের মাধ্যমে নারদ-কর্ণধার ম্যাথু স্যামুয়েল দাদার কাছে পৌঁছেছিলেন বলে অভিযোগ। ভাই ইকবাল আহমেদকে ইতিমধ্যে এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। দাদা সুলতান আহমেদকে ৩ জুলাই তাদের দফতরে হাজির হওয়ার জন্য বুধবার নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই।

নারদ-তদন্তে সিবিআইয়ের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করার জন্য সুলতানের ভাই, কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবালকে এ দিনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নারদ-কাণ্ডে ইকবাল কী ভাবে কতটা জড়িত, সেই বিষয়ে সিবিআইয়ের কাছ থেকে রিপোর্টও তলব করেছেন উচ্চ আদালতের বিচারপতি।

এ দিনই সিবিআইয়ের কলকাতা অফিসে হাজিরা দেওয়ার জন্য সুলতানকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু সাংসদ হাজির হননি। আইনজীবীর চিঠি পাঠিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, সাংসদ হিসেবে তাঁর পূর্বনির্ধারিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। সেই জন্য তিনি হাজির হতে পারছেন না। সিবিআই সূত্রের খবর, এ দিন সুলতানকে ফের নোটিস পাঠিয়ে ৩ জুলাই হাজির হতে বলা হয়েছে।

তদন্তকারীদের কথায়, স্টিং অপারেশনের হোতা, নারদ নিউজের কর্ণধার ম্যাথু স্যামুয়েল ডেপুটি মেয়র ইকবালের মাধ্যমেই উলুবেড়িয়ার সাংসদ সুলতান আহমেদের কাছে পৌঁছেছিলেন। সিবিআইয়ের অভিযোগ, ম্যাথুর কাছ থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছেন সুলতান। নারদ ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নির্বাচনের পরে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেবেন বলেও ম্যাথুকে আশ্বাস দিয়েছিলেন সুলতান।

তদন্তকারীদের অভিযোগ, টাইগার মির্জা ও ইকবাল আহমেদের মাধ্যমে ম্যাথু তৃণমূলের বেশ কয়েক জন নেতা-মন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছিলেন। টাইগার ও ইকবালকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, সুলতানকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য ম্যাথুর কাছে সুপারিশ করেছিলেন ইকবালই। ওই টাকা নিজের এক কর্মচারীর হেফাজতে রেখেছিলেন সুলতান। সেই কর্মচারীকেও শনাক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান তদন্তকারীরা।

তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে-এফআইআর করেছে, তা খারিজের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন ইকবাল। আগেই ঠিক যেমনটি করেছেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। ইকবালের মামলাটি শুনানির জন্য এ দিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর আদালতে ওঠে। ইকবালের কৌঁসুলি অমিত দেশাই আবেদন জানান, নারদ-কাণ্ডের এফআইআর থেকে তাঁর মক্কেলের নাম বাদ দেওয়ার জন্য সিবিআই-কে নির্দেশ দেওয়া হোক।

বিচারপতি বাগচী সিবিআইয়ের আইনজীবী মহম্মদ আসরাফ আলির উদ্দেশে বলেন, একই ধরনের একটি মামলা (অপরূপা পোদ্দারের মামলা) তাঁর আদালতে বিচারাধীন। দু’টি মামলার শুনানি একসঙ্গে হবে। অপরূপার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে ৩০ জুন। ওই দিন ইকবালের মামলাটিরও শুনানি হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE