কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনীতে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অন্যতম মূল চক্রীকে গ্রেফতার করল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। ধৃতের নাম মহেশকুমার চৌধুরী। তিনি এক কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সেপাই পদে কর্মরত ছিলেন। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং স্টোর ডিপোয় কর্মরত অভিযুক্ত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, মহেশই এই চক্রের মাথা। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট (স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র) বানিয়ে দেওয়ার চক্রকে তিনিই পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ।
সিএপিএফ-এর কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। অভিযোগ, ২০২১ এবং ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট ব্যবহার করা হয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশ মতো তদন্ত চালাতে থাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দু’জন চিহ্নিত অভিযুক্ত-সহ অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে সিবিআই। চিহ্নিত দুই অভিযুক্তের মধ্যে অন্যতম মহেশ। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মহেশ সরাসরি কিংবা দালাল মারফত চাকরিপ্রার্থীদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও নিয়েছিলেন।
শনিবার অভিযুক্তকে আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারক অভিযুক্তের পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতকে জেরা করে এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন:
২০২১ এবং ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনীতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় স্টাফ সিলেকশন কমিশন (এসএসসি)। অভিযোগ, ওই দু’বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক প্রার্থী ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট ব্যবহার করেছেন। তাঁরা এ রাজ্যের বাসিন্দা না হয়েও তা হওয়ার দাবি করেছেন। তার সপক্ষে শংসাপত্রও দাখিল করেছেন। ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করা ওই প্রার্থীদেরও প্যানেলে জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।