নারদ স্টিং অপারেশন নিয়ে সিবিআই তদন্তের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। আগামিকাল, সোমবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জগদীশ সিংহ খেহরের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
সূত্রের খবর, শমিতাভ ধর নামে উত্তর দমদম পুরসভা এলাকার বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলা দায়ের করেছেন। মামলার নোটিস পাঠানো হয়েছে সিবিআইকে। আবেদনে শমিতাভ বলেছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই এফআইআর দায়ের করেছে, তাঁরা রাজ্যসভা বা লোকসভার সাংসদ। একই সঙ্গে, রাজ্যের কয়েক জন মন্ত্রী তথা বিধায়কের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের হয়েছে। নারদ স্টিং অপারেশন নিয়ে রাজ্যসভা, লোকসভা ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ‘এথিক্স কমিটি’-র তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই তদন্ত শুরু করতে পারে না। তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিক আদালত।
এই স্থগিতাদেশ আবেদনের পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে বলে রাজনীতিকদের ধারণা। কারণ তিন দিন আগে তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসে নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত নেতা মন্ত্রীরা স্থির করেছিলেন, এ ব্যাপারে তাঁরা আইনি মোকাবিলার পথে হাঁটবেন। সে জন্য দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলবেন মুকুল রায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও প্রাক্তন আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ঘটনাচক্রে, শুক্রবার তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন শেষ হতেই মুকুলবাবু তড়িঘড়ি দিল্লি রওনা হন।
নারদ স্টিং অপারেশনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, এমন ১৩ জনের বিরুদ্ধে ১৭ এপ্রিল এফআইআর করে সিবিআই। গত বিধানসভা ভোটের আগে ওই অপারেশনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ হয়। ফুটেজে যাঁদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে গত বছরের মার্চে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। চলতি বছরের ১৭ মার্চ হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআইয়ের হাতে নারদ স্টিং অপারেশনের তদন্ত তুলে দিয়ে নির্দেশ দেয়।
এর পরে হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে যায় তৃণমূল ও রাজ্য। শীর্ষ আদালত ২১ মার্চ রাজ্যের আবেদন খারিজ করে। সিবিআই গত ১৭ এপ্রিল যাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের ছয় সাংসদ, চার মন্ত্রী, এক বিধায়ক, এক প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এক জন আইপিএস অফিসার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy