ফাইল চিত্র।
পুলিশকে সাহায্য করার জন্য সিভিক পুলিশ নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। অথচ তাঁদের পুলিশবাহিনী বা হোমগার্ড হিসেবে নিয়োগ করা হয়নি কেন, সেই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে। আদালত জানতে চেয়েছে, ঠিক কী কারণে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় লক্ষাধিক সিভিক পুলিশকর্মী নিয়োগ করা জরুরি হয়ে পড়েছিল।
নিয়োগের পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলে জানিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে রায় দিয়েছিলেন, সিভিক পুলিশকর্মীদের কাজের মেয়াদ ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পরে আর বাড়ানো যাবে না। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা করেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার তার শুনানিতেই বিচারপতি মাত্রে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তের কাছে জানতে চান, সিভিক পুলিশ নিয়োগের আদৌ প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল কেন?
এজি জানান, রাজ্যে বিভিন্ন থানায় এক লক্ষ তিরিশ হাজার ‘সিভিক ভলান্টিয়ার’ নিয়োগ করা হয় মূলত পুলিশকে সাহায্য করার জন্য। তাঁদের সরকারি কোনও পদ দেওয়া হয়নি। যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, উৎসবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ বা রেল পুলিশকে সাহায্য করার জন্য ওই নিয়োগ হয়েছে।
এই জবাব শুনে বিচারপতির মাত্রে মন্তব্য করেন, ‘‘পুলিশের যা কর্তব্য বা ক্ষমতা, সেই দায়দায়িত্ব বা ক্ষমতা সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের না-দিয়ে তাঁদের নিয়োগ করা হল শুধু পুলিশকে সাহায্য করার জন্য!’’ ডিভিশন বেঞ্চের অন্য বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী তার পরেই এজি-র কাছে জানতে চান, ‘‘পুলিশকে সাহায্য করার জন্য যাঁদের নিয়োগ হল, সেই সিভিক পুলিশের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে কি? নিয়োগের নির্দেশিকায় কিন্তু ওই পরীক্ষার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।’’ এজি জানান, নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রার্থীদের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল, এনসিসি বা খেলাধুলো নিয়ে কোনও ক্লাবের শংসাপত্র এবং ইন্টারভিউয়ে সাধারণ জ্ঞানের কিছু প্রশ্ন করতে হবে। সেই নিয়ম মানা হয়েছে।
বিচারপতি মাত্রে তা শুনে জানান, বাঁকুড়ার বারিকুল ও সারেঙ্গা থানায় যে-ভাবে নিয়োগ হয়েছে, তাতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালতে অভিযোগ করা হয়েছিল।
আজ, বুধবার ফের শুনানি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy