কলকাতা হাই কোর্ট।
উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ে চাকরিপ্রার্থী পেয়েছিলেন ৪ নম্বর। পরে দেখা যায় তাঁকে ২ নম্বর দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় নম্বর না থাকায় চাকরিও হয়নি তাঁর। কিন্তু ‘বিচার’ চাইতে চাকরিপ্রার্থী হাই কোর্টে যেতেই এসএসসি জানাল ‘ভুল হয়ে গিয়েছে’। অথচ চাকরিপ্রার্থীর দাবি, ইন্টারভিউয়ে ৪ নম্বর পেলে তিনি চাকরি পেতে পারেন। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিস্মিত বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এসএসসিকে নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি দিতে হবে। প্রয়োজনে শূন্যপদ তৈরি করে চাকরি দিতে হবে।
২০১৪ সালে উচ্চ প্রাথমিকের শারীরশিক্ষা বিভাগের পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারেননি বাঁকুড়ার বাসিন্দা সুরজিৎ গোস্বামী। তথ্য জানার অধিকার আইনে তিনি খাতা দেখতে চান। খাতায় তিনি দেখেন একটি প্রশ্নের উত্তর সঠিক লিখলেও তাঁকে সেই প্রশ্নের জন্য নম্বর দেওয়া হয়নি। তখনও পর্যন্ত সুরজিতের নম্বর ছিল। এক নম্বর পেলে তিনি ইন্টারভিউয়ের জন্য বিবেচিত হতে পারতেন। এই পরিস্থিতিতে সুরজিৎ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। আদালতের কাছে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান। হাইকোর্ট ২০২২ সালের মার্চ মাসে এসএসসির চেয়্যারম্যানকে নির্দেশ দেয়, বিশেষ়জ্ঞ কমিটি গঠন করে উত্তরপত্রের পুনর্মূল্যায়ন করতে। বিশেষজ্ঞ কমিটি জানায়, সুরজিতের লেখা উত্তরটি সঠিক ছিল। তাই তাঁকে এক নম্বর দেওয়া হয়। তখন ওই চাকরিপ্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর হয় ৬৬। তিনি ইন্টারভিউর জন্য বিবেচিত হন।
কিন্তু সুরজিৎ অভিযোগ করেন, ইন্টারভিউতে তিনি ৪ নম্বর পেলেও তাঁকে ২ নম্বর দেওয়া হয়েছে। চাকরিপ্রার্থী এ-ও দাবি করেন যে, ৪ নম্বর পেলে তাঁর মোট নম্বর হবে ৭০। সেক্ষেত্রে তিনি চাকরিটির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। কারণ মেধা তালিকায় থাকা শেষ প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ৭০-এর কম। সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ইন্টারভিউয়ের নম্বর কমা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এসএসসিকে নির্দেশ দেন সত্ত্বর সুরজিৎকে চাকরি দিতে হবে। ২০১৪ সাল থেকে পদোন্নতি সহ চাকরির সমস্ত সুযোগসুবিধাও তাঁকে দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy