বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। — ফাইল ছবি।
ধর্ষণের অভিযোগের পর ১০ দিন কেটে গিয়েছে। তার পরেও কেন গোপন জবানবন্দি নিল না পুলিশ? ডায়মন্ড হারবারে তরুণীর গণধর্ষণকাণ্ডে এই প্রশ্নই তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
এর পরেই বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, মঙ্গলবারই নির্যাতিতার বয়ান নিতে হবে পুলিশকে। অভিযোগের ভিত্তিতে এই পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখবেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার। এ বিষয়ে হাই কোর্টে তাঁকে রিপোর্ট দিতে হবে। বিচারপতি মান্থা আরও জানিয়েছেন, আপাতত তিন সপ্তাহ ওই তরুণীকে যাবতীয় নিরাপত্তা দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
নির্যাতিত তরুণীর অভিযোগ, জমিসংক্রান্ত বিষয়ে কয়েক জনের সঙ্গে গণ্ডগোল হয় তাঁর। আদালতে তিনি দাবি করেন, কয়েক জন তাঁকে বিবস্ত্র করে লাঞ্ছনা করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে দেরি করেছে পুলিশ। পরে করলেও পুলিশ আশাতীত কোনও পদক্ষেপ করেনি।
মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, ‘‘পুলিশের এমন উদাসীন মনোভাব আদালতের কাছে যন্ত্রণাদায়ক।’’ তিনি জানান, পুলিশের কাছে আশা করব পরবর্তী শুনানির আগেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করবে। তাঁদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারায় মামলা রুজু করতে হবে। এই ঘটনার তদন্তে তদন্তকারী অফিসারকে সাহায্য করবেন এসপি।
অভিযোগ, নির্যাতিতাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, ‘‘থানার আউটপোস্টে কোনও মহিলা কর্মী নেই। অভিযোগ জানাতে গেলে নিচ্ছেন না। শুধু জিডি করে ছেড়ে দিচ্ছেন। ঘটনার এত দিন পরেও আপনারা সজাগ হননি। আপনারা তো পুরো সিস্টেম ভেঙে দিচ্ছেন। পুলিশের এই ভূমিকায় আদালতকে অবাক করছে।’’ আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy