দিন সাতেক আগের ঘটনা। ‘বিগ বস্ ১৮’-এর মঞ্চে সঞ্চালক সলমন খানের সঙ্গে আমির খান। পেশাসূত্রে পরস্পরের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। স্বাভাবিক ভাবেই মঞ্চ ভাগ করতে করতে খুনসুটিতে মাতেন। সেখানেই আমির তাঁর অভিনেতা বন্ধুকে সম্বোধন করে বলেন, “আরবাজ়কে (সলমনের ভাই আরবাজ় খান) ফোন করো। বলো, তুমি অপহৃত। অপহরণকারী ১ কোটি টাকা চেয়েছে!” আমিরের দুষ্টুমিতে যোগ দিয়ে সলমন কপট ফোন করেন তাঁর ভাইকে। তার পর জানান, “আরবাজ় ফোন কেটে দিয়েছে!” সঙ্গে সঙ্গে আমিরের আবার দুষ্টুমি, “তোমার বুদ্ধি ফ্লপ। আরবাজ়কে অপহরণ করে তোমার থেকে ১ কোটি টাকা চাওয়া উচিত ছিল।”
সেই খুনসুটি ভিডিয়ো আকারে ছড়িয়েছে। ভাইরালও হয়েছে। সেই সঙ্গে ছড়িয়েছে নিন্দকদের বক্রোক্তি। দিন কয়েক আগেই সইফ আলি খানের বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা হয়েছে। খান পরিবারের বয়ান অনুযায়ী, হামলাকারী ডাকাতির উদ্দেশ্যে বাড়িতে ঢুকলেও সইফের ছোট ছেলে জেহ্-কে পণবন্দি বানানোর চেষ্টা করেছিল। ১ কোটি টাকা মুক্তিপণও নাকি চেয়েছিল।
আরও পড়ুন:
আমির-সলমন কি ‘বিগ বস্ ১৮’-র মঞ্চে সইফ-কাণ্ডকেই ব্যঙ্গের মোড়কে কটাক্ষ করলেন? না কি পুরোটাই কাকতালীয়, বিশুদ্ধ রসিকতা?
এমন প্রশ্ন ওঠার নেপথ্যে একাধিক কারণ। সইফ এবং তাঁর স্ত্রী করিনা কপূর খানের বয়ানে অসঙ্গতি, অটোয় চেপে রক্তাক্ত সইফের লীলাবতী হাসপাতালে যাওয়া, হামলার ঘটনা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক, শিশুপুত্র তৈমুর এবং এক ব্যবসায়ী বন্ধুকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, সইফের চিকিৎসকদের বয়ান এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের দেওয়া তথ্যের পার্থক্য— নতুন করে সইফ-কাণ্ড নিয়ে ভাবতে বাধ্য করছে সবাইকে।