অনিতা কুমার নামে কড়েয়ার এক মহিলা বৃহস্পতিবার পুলিশে অভিযোগ জানান— একটি দোকান থেকে তিনি যে ডিম কিনেছিলেন, তাতে প্লাস্টিকের নকল ডিম রয়েছে। তার পরেই ‘প্রতারণা, অপরাধের ষড়যন্ত্র ও অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি’র মামলা করে ওই ডিম বিক্রেতা শামিম আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শিয়ালদহের পাইকারি ডিম বাজারের পাঁচ ব্যবসায়ীকে শনিবার রিপন স্ট্রিটে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (ইবি) অফিসের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই পাঁচ ব্যবসায়ীর থেকে শামিম ডিম কেনেন। তাঁরা কোথা থেকে ডিম কেনেন, সেই ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ। নকল ডিম অনুসন্ধানে ইবি-র পাঁচ ইনস্পেক্টরকে নিয়ে দল গড়া হয়েছে।
নকল ডিম নিয়ে অনিতা কুমারের বয়ান ও তাঁর মোবাইল ক্যামেরায় তোলা ভিডিও ছাড়া তথ্যপ্রমাণ এখনও পুলিশের হাতে নেই। তা হলে শমিমের গ্রেফতারে পুলিশের এই অতি সক্রিয়তার কী ব্যাখ্যা?
লালবাজারের এক সূত্রের দাবি— এতে জনস্বাস্থ্য জড়িত। অনিতা তাঁর দোকান থেকেই ডিম কিনেছিলেন, শামিম তা স্বীকার করেছেন। তবে পুলিশেরই অন্য এক সূত্রের বক্তব্য, অনিতা ডিম বিক্রির অভিযোগ জানান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। মেয়রের থেকে খবর পৌঁছয় লালবাজারের শীর্ষস্তরে ও সেখান থেকেই কড়েয়া থানায় নির্দেশ যায়। প্রশ্ন উঠেছে, এ জন্যই কি এত তৎপর পুলিশ? ডিমের আসল-নকল বেরোনো গবেষণাগারের রিপোর্টের মুখাপেক্ষী। ভেজাল ডিম প্রমাণ হওয়ার আগেই কেন হাজতে পোরা হল ব্যবসায়ীকে? কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ এ দিন দলবল নিয়ে নিউ মার্কেটের ডিম বাজার ঘুরে দেখেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy