যোগ্যতার ভিত্তিতে বেতন-কাঠামো বদলের দাবি নিয়ে আন্দোলনকে ঘিরে বিরোধী প্রাথমিক শিক্ষকদের একটি বড় অংশ এক ছাতার তলায় এসেছে। এ বার নানা দাবিদাওয়া নিয়ে সংগঠিত হচ্ছেন পার্শ্বশিক্ষকেরাও।
সোমবার পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের নামে বিভিন্ন বিরোধী পার্শ্বশিক্ষকদের সংগঠন রাস্তায় নামল। আন্দোলনকারীদের দাবি, শাসক দলের সমর্থক পার্শ্বশিক্ষকেরাও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। ধর্মতলায় সমাবেশ চলার সময়েই পুলিশ তাঁদের মারধর করে বলে অভিযোগ। পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিভিন্ন দলের শিক্ষক সদস্যদের নিয়ে গঠিত পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ এ দিন শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত স্টিলের থালা ও হাতা বাজিয়ে মিছিল করে। পরে ধর্মতলায় সমাবেশ হয়। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান ছিলেন সেখানে। ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে যাওয়ার মুখেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পার্শ্বশিক্ষকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রেফতারও করা হয় বহু শিক্ষককে। পরে ছেড়েও দেওয়া হয়।
ঐক্য মঞ্চের তরফে মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগীরথ ঘোষ জানান, সম কাজে সম বেতন পাওয়া যাচ্ছে না। বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদাও তাঁরা পাচ্ছেন না। কর্মরত অবস্থায় মৃত পার্শ্বশিক্ষকদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করছে না সরকার। অথচ স্কুলের অধিকাংশ কাজ করেন তাঁরাই। দাবিদাওয়া জানাতে নবান্নে দরবার করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ‘‘কিন্তু পুলিশ নির্লজ্জ ভাবে শিক্ষকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে, মারে। এটা লজ্জার ও অপমানের,’’ বলেন ওই শিক্ষক-নেতারা।
শিক্ষক-নেতা স্বপন মণ্ডলের ব্যবস্থাপনায় উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস, শিক্ষক-নেতা তপন বর্মণ-সহ কয়েক জন শিক্ষক এ দিন বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। বেতনক্রম, প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অস্বচ্ছতা-সহ নানা বিষয়ে কথা হয় বলে দাবি করেন স্বপনবাবু। পৃথাদেবী বলেন, ‘‘পুরো সমস্যার কথা মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।’’ শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবু জানান, ২৫ নভেম্বর দলীয় প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সম্মেলনের দিনেই তিনি যা বলার বলবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy