লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় বেশ কয়েকটি নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় একগুচ্ছ নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার আদালত জানাল, সিবিআই হেফাজতে লালনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত সিআইডি চালিয়ে যেতে পারবে। বয়ান নেওয়ার সময় ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে। তবে আদালতের অনুমতি ছাড়া গরু এবং কয়লা পাচার মামলায় তদন্তকারী সিবিআইয়ের অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও ‘কড়া পদক্ষেপ’ করা যাবে না। আদালত এ-ও জানায়, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট করতে হবে কল্যাণী এমস থেকে।
বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে থাকাকালীন লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিবিআই একে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও লালনের পরিবার খুনের অভিযোগ এনেছেন। লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি এফআইআরে কয়েক জন সিবিআই আধিকারিকের নাম করেছেন। অন্য দিকে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সিআইডি। ইতিমধ্যে পুলিশের তরফেও সাত সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন গরু পাচারকাণ্ডে তদন্তকারী দুই অফিসার। এই এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে গিয়েছে সিবিআইও।
বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে সিবিআই দাবি করে, শৌচাগারে গামছা গলায় নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন লালন। হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর উপর কোনও নির্যাতন হয়নি। তা ছাড়া, এর আগে নির্যাতনের কোনও অভিযোগ ওঠেনি। তারা এ-ও বলে লালনের আত্মহত্যার আগের মুহূর্তে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে। সেখানে কোনও আঘাতের চিহ্নের কথা উঠে আসেনি।
এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘‘লালনের স্ত্রী কি এক বারও দেখা করতে পেরেছিলেন স্বামীর সঙ্গে?’’ এর জবাবে সিবিআই বলে, ‘‘আদালতে হাজির করানোর সময় ওঁদের দেখা হয়েছে। তখন কোনও বাধা দেওয়া হয়নি।’’ প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়েছিল লালনকে। বিচারকের নির্দেশে লালনকে নিজেদের হেফাজতে পায় সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy