Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

দুর্ঘটনায় কোন্দল প্রকট বিজেপিতে

মোদীর সভায় শামিয়ানা ভাঙার পরে। নিজস্ব চিত্র

মোদীর সভায় শামিয়ানা ভাঙার পরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৮ ০৩:৫৬
Share: Save:

শামিয়ানা ভাঙল প্রধানমন্ত্রীর সভায়। ফাটল বাড়ল রাজ্য বিজেপি-তে।

দলীয় সূত্রের খবর, সোমবার মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা চলাকালীন শামিয়ানা ভেঙে শ’খানেক মানুষ আহত হওয়ার পর এখন রাজ্য বিজেপি-র মধ্যে শুরু হয়েছে পারস্পরিক দোষারোপের পালা। মোদীর সভা আয়োজনের দায়িত্ব ছিল দলের দুই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় সিংহের উপর। দলের একাংশ তাই তাঁদের দিকে আঙুল তুলছেন। তাঁদের অবশ্য বক্তব্য, বিজেপি-র বিভিন্ন সভার কাজ যে ডেকরেটর সংস্থা করে, এখানেও কাজ তারাই করেছে।

বিজেপি-র অন্দরে শোনা যাচ্ছে, মোদীর সভায় ছাউনি গড়তে রাঁচি থেকে ‘অভিজ্ঞ’ ডেকরেটর আনার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যের আর এক সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। গত ২৮ জুন পুরুলিয়ায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভায় রাঁচির ওই ডেকরেটরকে দিয়েই ছাউনি তৈরি করিয়েছিলেন সায়ন্তন। দলীয় সূত্রের খবর, বর্ষাকালে ভেজা কাদা মাটিতে লোহার কাঠামো পুঁতে ছাউনি তৈরির অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তি ওই ডেকরেটরের আছে। কিন্তু খরচ বেড়ে যাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে রাঁচির ওই ডেকরটেরকে মোদীর সভার জন্য আনার প্রস্তাব বাতিল করা হয়।

সায়ন্তন মঙ্গলবার বলেন, ‘‘দলীয় বৈঠকে অনেক প্রস্তাবই এসেছিল। এ বিষয়ে আর কিছু বলব না।’’ আর রাজুর বক্তব্য, ‘‘রাঁচির ডেকরেটরকে কাজটা দেওয়া হয়নি, কারণ, সে পারত না।’’ রাজুর আরও বক্তব্য, পুরুলিয়ায় শাহের সভার মূল মঞ্চ যে ডেকরেটর করেছিল, তারা ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিজেপি-র সব সভাতেই কাঠামো গড়ার কাজ করে। তাই বিশ্বস্ত বুঝে মোদীর সভার মঞ্চ থেকে ছাউনি— সবটাই তাকে দিয়ে করানো হয়েছে।

দলীয় সূত্রের আরও খবর, ওই সভার দায়িত্বপ্রাপ্ত আর এক সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সভার আগেই দলে জানিয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশ, বিহারে ওই বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনসভায় ছাউনি গড়ার রেওয়াজ আছে। সুতরাং, ওই সব রাজ্য থেকেও ওই প্রযুক্তি আনা যেতে পারে। কিন্তু তাতেও কেউ কান দেয়নি। যদিও মঙ্গলবার এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সঞ্জয় বলেন, ‘‘আমি কোনও পরামর্শ দিইনি। একটা দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কী করা যাবে!’’

মাঠে যত লোক ধরে সভাস্থলে যে তার অনেক বেশি লোক ঢুকেছিল, সেটা বিজেপি নেতারাও স্বীকার করেছেন। রাজ্য প্রশাসনের খবর, সোমবার মোদীর সভায় বাইরের রাজ্য থেকে লোক আনা হয়েছিল। বাইরের রাজ্যের নম্বর প্লেট যুক্ত ৩২টা বাস চিহ্নিত করেছে রাজ্য প্রশাসন। তার মধ্যে বিহারের একটি, অন্ধ্রপ্রদেশের একটি, ঝাড়খণ্ডের ১১টি এবং ওড়িশার ১৯টি।

অন্য বিষয়গুলি:

West Bengal State BJP Pandal Collapse Blame game
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE