পার্ক সার্কাসের অবস্থানে অধীর চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র।
পার্ক সার্কাসে অবস্থানকারী প্রতিবাদীদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে আক্রমণ করে এ বার বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ। তাঁর মন্তব্যের কড়া সমালোচনায় সরব হয়েছেন তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাঁরা পথে নেমেছেন, তাঁদের নিয়মিতই নিশানা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ছুটছে কুকথার ফোয়ারাও। প্রজাতন্ত্র দিবসে সেই তালিকায় সংযোজন রাহুলবাবু। যিনি রবিবার বলেছেন, ‘‘পার্ক সার্কাসে যে বাচ্চারা আন্দোলন করছে, ওরা বিদেশি বাচ্চা! ওখানে সব বাংলাদেশি মুসলমান। ওদের ভারত ছাড়তেই হবে। আজাদি স্লোগান এখানে চলবে না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ভারতকে টুকরো করতে চায় যারা, তারা জাতীয় পতাকা হাতে ধরলেই কি সব মেনে নিতে হবে? যত চেষ্টাই করুন, যাঁরা এ দেশের নন, তাদের এ দেশ ছাড়তেই হবে!’’
আন্দোলনরত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এ দিনই পার্ক সার্কাসে গিয়েছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। বিজেপি নেতার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা এখানে আন্দোলন করছেন, তাঁরা সকলে এ দেশের মানুষ। আমি অধীর চৌধুরী এখানে এসেছি, আমাকে ওঁরা বিদেশি বা অনুপ্রবেশকারী বলতে পারেন। কিন্তু এ দেশের সংবিধানকে বাঁচাতে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের এমন কথা বলা যায় না। সব মানুষ এক হয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন বলে বিজেপির মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।’’ রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘যাঁরাই প্রতিবাদ করবেন, তাঁরাই হয় দেশদ্রোহী! নয়তো অনুপ্রবেশকারী। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীও বলেন, ‘‘নির্বোধ এবং অসভ্যের মতো কথা না বললে বিজেপি হওয়া যায় না! বাংলাকে ভাগ করার উত্তরাধিকার যাঁদের, তাঁরাই আবার প্রতিবাদীদের বাংলাদেশি বলে আক্রমণ করছেন। মানুষই এ সবের জবাব দেবেন।’’
আরও পড়ুন: উস্তিতে ধৃত হিন্দুত্ববাদী জঙ্গি প্রতাপ হাজরা কালবুর্গি-লঙ্কেশের ঘাতকদের অস্ত্র প্রশিক্ষক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy