Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Maharashtra & Jharkhand Assembly Election

২১/২৮৮ বনাম ১২/৮১! মহিলা বিধায়কের সংখ্যায় মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে এ বার দুই ভিন্ন গতির ছবি

২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ২০১৯ সালে ২৩ জন মহিলা বিধায়ক ছিলেন। এ বার সেই সংখ্যাটা কমে হয়েছে ২১। তার মধ্যে শাসকজোটের মহিলা বিধায়ক সংখ্যা ২০।

গত বারের তুলনায় মহারাষ্ট্রে মহিলা বিধায়কের সংখ্যা কমেছে, ঝাড়খণ্ডে বেড়েছে।

গত বারের তুলনায় মহারাষ্ট্রে মহিলা বিধায়কের সংখ্যা কমেছে, ঝাড়খণ্ডে বেড়েছে। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:১৬
Share: Save:

গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় চলতি নির্বাচনে মহিলা ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে মহারাষ্ট্রে। যদিও মহিলা বিধায়কের সংখ্যা কমে গিয়েছে। ২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ২০১৯ সালে ২৩ জন মহিলা বিধায়ক ছিলেন। এ বার সেই সংখ্যাটা কমে হয়েছে ২১। তার মধ্যে শাসকজোটের মহিলা বিধায়ক সংখ্যা ২০। বিরোধী জোটের মাত্র এক জন মহিলা জয়ী হয়েছেন ভোটে। মহারাষ্ট্রে মহিলা বিধায়কের সংখ্যা কমলেও ঝাড়খণ্ডে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় এ বার মহিলা বিধায়কের সংখ্যা হয়েছে ১২। গত বার ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ১০ জন মহিলা প্রার্থী।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৪,১৩৬। তাঁদের মধ্যে ৩,৭৭১ জন পুরুষ এবং মাত্র ৩৬৩ জন জন মহিলা ছিলেন। দু’জন তৃতীয় লিঙ্গের। মোট প্রার্থীর আট শতাংশ ছিলেন মহিলা। ওই ৩৬৩ জন মহিলা প্রার্থীর মধ্যে ২১ জন জয়ী হয়েছেন। তার মধ্যে বিজেপির ১৪ জন মহিলা প্রার্থী জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন গত বারের বিধায়ক। বাকি ভোকার, কল্যাণ পূর্ব, ভাসাই, ফুলমবাড়ি কেন্দ্রের চার বিজেপি প্রার্থী এ বারই প্রথম ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার টিকিটে লড়ে জয়ী হয়েছেন দু’জন মহিলা। অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপির টিকিটে জয়ী হয়েছেন চার জন মহিলা। অন্য দিকে, ধারাভি আসন থেকে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের জ্যোতি গায়কোয়াড়। তিনি ছাড়া বিরোধীদের আর কোনও মহিলা প্রার্থীই জয়ী হননি।

যদিও পরিসংখ্যান বলছে, গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এ বার মহারাষ্ট্রে মহিলা ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে আড়াই শতাংশ। মোট মহিলা ভোটারের মধ্যে ৬৫.২১ শতাংশই ভোট দিয়েছেন। যেখানে মোট পুরুষ ভোটারের মধ্যে ৬৬.৮৪ শতাংশ ভোট দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, একনাথ শিন্ডে সরকারের ‘লড়কি বহিন যোজনা’-র মতো প্রকল্প মহিলাদের ভোটদানে উৎসাহিত করেছে। তার পরেও মোট প্রার্থীর মাত্র আট শতাংশ মহিলা প্রার্থীর মধ্যে কেন ২১ জন জয়ী হয়েছেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

ঝাড়খণ্ডে ৮১টি আসনের মধ্যে ১২টি আসনে জয়ী হয়েছেন মহিলারা। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন কংগ্রেসের, তিন জন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এবং চার জন বিজেপির টিকিটে জয়ী। বিজেপির টিকিটে জামশেদপুর পূর্ব থেকে জয়ী পূর্ণিমা সাহু ওড়িশার রাজ্যপাল রঘুবর দাসের পুত্রবধূ। গান্দের আসন থেকে জয়ী হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেন। চলতি বছর উপনির্বাচনেও এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের বিদায়ী তথা পঞ্চম বিধানসভায় মহিলা বিধায়কের সংখ্যা ছিল ১০। চতুর্থ বিধানসভায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা ছিল নয়। এ বার সেই সংখ্যাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy