পান্ডুয়ায় পোস্টার। উত্তরাখণ্ডে লকেট।
হুগলির বিজেপি সাংসদের ‘নিখোঁজ’ পোস্টার পড়ল পাণ্ডুয়ায়। পাণ্ডুয়া বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত অফিসে ও তেলিপাড়া মোড়-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বুধবার সকালে এই পোস্টার দেখা যায়। তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছেন সেটা জানা যায়নি। কারণ, পোস্টারের নীচে কারও নাম লেখা নেই। পোস্টারে লেখা, ‘নিখোঁজ সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সন্ধান চাই।’ এমন পোস্টারের পরে সত্যিই দীর্ঘদিন এলাকায় অনুপস্থিত লকেটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানান, এখন উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্বে তিনি সেখানেই রয়েছেন।
এই পোস্টারের পিছনে কোনও রাজনীতি আছে কি! মানতে নারাজ তৃণমূল। তবে দলের পাণ্ডুয়া ব্লক সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে জানি না। তবে এমন পোস্টার আরও আগেই লাগানো উচিত ছিল। কারণ, হুগলির সাংসদকে বহু দিন পাণ্ডুয়া তথা হুগলি জেলায় দেখা যায়নি। পাণ্ডুয়ার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁকে খুঁজছেন। করোনায় তাঁকে পাওয়া যায়নি, আমপানে পাওয়া যায়নি। কোনও কাজেই তাঁকে পাওয়া যায় না। সাংসদ দেখাই দেন না। পাণ্ডুয়ার জনগণ এই পোস্টার মেরে থাকতে পারে। কারণ তাঁরা সাংসদকে দেখতে চান, তাঁর কাছে কিছু কাজ চান। নির্বাচনে জেতার পর একবার এসেছিলেন। তারপর আর দেখা যায়নি। ওঁর দলের লোকরাও দেখতে পাচ্ছেন না। দলের লোকরা বীতশ্রদ্ধ তাঁর উপরে।’’ এই প্রসঙ্গে লকেট বলেন, ‘‘এই ধরনের পোস্টারের পিছনে আছে রাজনৈতিক চক্রান্ত। সাংসদের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু আমার সঙ্গে আমার কর্মী ও রাজ্য নেতাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সংসদে অধিবেশনের জন্যই আমি দিল্লিতে ছিলাম। এখন দলের দায়িত্ব পেয়ে উত্তরাখণ্ডে রয়েছি। সেখানে বিধানসভা নির্বাচনে আমাকে সহকারী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’
২০১৯ সালে হুগলি লোকসভায় তৃণমূলের রত্না দে নাগকে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। হুগলি লোকসভার সাতটি বিধানসভা এলাকার মধ্যে পাণ্ডুয়া একটি। সেই পাণ্ডুয়া থেকে এ বার বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হয়েছেন রত্না দে নাগ। অন্য দিকে, চুঁচুড়া বিধানসভা আসন থেকে লড়াই করে তৃণমূলের অসিত মজুমদারের কাছে পরাজিত হন লকেট। এর পর থেকেই তাঁকে লোকসভা এলাকায় দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তৃণমলের।
লকেট রাজ্যে না থাকলেও ওই পোস্টার নিয়ে পাণ্ডুয়ায় রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি হয়েছে। বিজেপি-র হুগলি জেলা যবু মোর্চার সভপতি সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘সামনে পুরসভা নির্বাচন। তার আগে এই ধরনের পোস্টার দিয়ে তৃণমূল ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে। সাংসদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। হুগলিতে এত বেশি করোনা টিকা এসেছে সাংসদের জন্য। সাংসদ তহবিলের টাকায় কাজ চলছে। সাংসদ কী করবেন? যাঁরা পোস্টার মেরেছেন তাঁদের বাড়িতে বাসন মেজে দেবেন?’’
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘‘লকেট চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় হেরে পালিয়ে গেছেন। তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বিজেপি করবেন না তৃণমূল করবেন নাকি চাঁদে গিয়ে দল করবেন জানি না।’’ পাল্টা অভিযোগ তুলে বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, ‘‘সামনে থেকে লড়াই করতে না পেরে পিছন থেকে সাংসদের নামে কুৎসা করছে তৃণমূল। পাণ্ডুয়াতে তৃণমূলের মন্ত্রীকেও দেখা যায় না। লকেট চট্টোপাধ্যায় সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে রয়েছেন। তাঁকে দল উত্তরাখণ্ডের দায়িত্ব দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy