প্রতীকী ছবি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হৃদয়ে যে সংখ্যালঘু মুসলিমরাও আছেন, তা প্রমাণে তৎপর হয়ে উঠল বিজেপি। সম্প্রতি প্যালেস্তাইন ঘুরে ওমানের প্রধান মসজিদে যান মোদী। এর আগে আবু ধাবিতেও মসজিদে গিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশের মাটিতে মসজিদে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তখন তাঁর মুসলিম-দরদী ভাবমূর্তি প্রচারে মরিয়া হয়ে আলোচনাসভা ডেকে ফেলল বিজেপি-র সংখ্যালঘু মোর্চা। কলকাতার কলাকুঞ্জে সোমবার যার বিষয় ছিল— সংখ্যালঘু উন্নয়নে নরেন্দ্র মোদী।
রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ওই অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন, মোদী সরকারের শুধু মুসলিমদের জন্য আলাদা করে কোনও প্রকল্প করার দরকার হয় না। কারণ তারা মুসলিমদেরও নাগরিকের মর্যাদা দেয়। ফলে ভারতের আম আদমির জন্য যে সব কেন্দ্রীয় সরকারি
প্রকল্প আছে, সেগুলির সুযোগ মুসলিমরাও পান।
তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রসঙ্গে স্বপনবাবু বলেন, ‘‘সংসদের আইনকে উপেক্ষা করে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে আর মুসলিমদের সেটাই মানতে হবে, এটা কি চলতে পারে? ওই বোর্ডকে কে নির্বাচন করেছে?’’
আরও পড়ুন: ‘বেটি বচাও’ আদতে ‘তাড়াও’: মুখ্যমন্ত্রী
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় গুজরাতে মুসলিমরা বেশি ভাল আছেন। সেখানে তাঁদের সম্পদ অনেক বেশি।
আর মুকুল রায়ের আহ্বান, ‘‘হীনম্মন্যতায় ভুগবেন না। বুক ফুলিয়ে বলবেন, আমরা বিজেপি করি। পঞ্চায়েত ভোটে বুক ফুলিয়ে প্রচার করুন, তৃণমূল সরকার সংখ্যালঘুদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি।’’
তবে যাঁদের জন্য বুক ফুলিয়ে প্রচার করার ডাক, তাঁদের অনুষ্ঠানে এ দিন প্রস্তুতির যথেষ্ট অভাব দেখা গিয়েছে। এমনকী, মঞ্চে আরএসএসের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক মাধব সদাশিব গোলওয়ালকরের ছবিকে তিনি বলেছেন সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের ছবি।
বিজেপি-র জাতীয় স্তরের সংখ্যালঘু মুখ কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর এ দিন কলকাতায় ছিলেন। তবে তাঁর কর্মসূচি ছিল বি বা দী বাগের কাছে একটি অভিজাত হোটেলে ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত বাজেট বিষয়ক আলোচনাসভায়। তার ফাঁকে পিএনবি-কাণ্ড নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আকবর বলেন, ‘‘সরকার প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করছে। তবে এই প্রশ্নও করা উচিত, নীরব মোদীর শোরুমগুলির উদ্বোধনে কাদের দেখা গিয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy