ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরা নিয়ে সম্মুখ সমরে তৃণমূল-বিজেপি। সেটা শুধু ত্রিপুরার মাটিতেই নয়, বাংলাতেও। শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের অনুষ্ঠানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় তৃণমূল সংগঠন শুরু করায় পায়ের তলায় মাটি সরেছে বিজেপির। হিম্মত থাকলে, বিজেপি তৃণমূলকে আটকে দেখাক।’’ এর পরে পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি-র রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ত্রিপুরা জয়ের স্বপ্ন দেখছে তৃণমূল, স্বপ্ন দেখা ভাল। ত্রিপুরায় আগে খাতা তো খুলে দেখাক তৃণমূল।’’
শুধু ত্রিপুরা প্রসঙ্গেই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি-কে আক্রমণ করেন শনিবার। সাংবাদিক বৈঠকে ধরে ধরে প্রতিটি আক্রমণেরই জবাব দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যে ‘ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস’ নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। অভিষেককেও কয়লা-কাণ্ডের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি দিল্লিতে তলব করেছে। এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‘ইডি-সিবিআই দিয়ে ধমকে-চমকে কিছু হবে না। যে রাজ্যে বিজেপি গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, সেখানে তৃণমূল লড়বে। পারলে আটকে দেখাক বিজেপি, চ্যালেঞ্জ রইল। বিজেপি-শাসিত রাজ্য ছিনিয়ে আনবে তৃণমূল ত্রিপুরায়, দুয়ারে গুন্ডা নয়, দুয়ারে সরকার যাবে। ত্রিপুরায় স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী শুরু হতে চলেছে। শেষ বিন্দু পর্যন্ত ত্রিপুরায় দলীয় কর্মীদের পাশে থাকব। লড়াইয়ের জন্য তৈরি থাকুক দলীয় কর্মীরা। পরিষেবা পেতে সিপিএম-কংগ্রেস সবাই আসুন।’’ এর জবাব দিতে গিয়ে শমীক বলেন, ‘‘বিজেপি প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করে না। ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। তদন্ত নিয়ে সহযোগিতা চাইলে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে সাহায্য করবে বিজেপি। আর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সম্পর্কে অভিযোগ থাকলে আদালতকে জানাক তৃণমূল।’’
একই সঙ্গে শনিবার বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের নিন্দা করেন শমীক। করোনা টিকাকরণ নিয়ে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবার দেশে ১ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সেখানে বাংলা একদম নীচের দিকে। সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে বিভিন্ন রাজ্য যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ একেবারে শেষ পঙ্ক্তিতে এসে পৌঁছেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy