বাবুল-মহুয়া বিবাদ গড়িয়েছিল আদালতে। ফাইল চিত্র
দু’জনেই লোকসভার সাংসদ। তাই অধিবেশন চলার সময়ে সংসদের সেন্ট্রাল হলে দেখা হয়ে যায়। আর সেই সাক্ষাৎ মুহূর্তে ‘হাসি-ঠাট্টা’ও হয়। বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ের সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিবাদ একটা সময় আদালত অবধি গড়িয়েছিল। তবে এখন আর সেই খারাপ সম্পর্কের জের নেই। শনিবার আনন্দবাজার আনলাইনের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে এমনটাই জানালেন মহুয়া। সম্পর্ক ভাল হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ছিল, এখন কি তাঁরা একে অপরের প্রিয় বন্ধু? উত্তরে মহুয়া বললেন, ‘‘প্রিয় বন্ধু (বেস্ট ফ্রেন্ড) না হলেও চরম শত্রু (ওয়ার্স্ট এনিমি)-ও নন।’’ এক সময় ‘সাপে-নেউলে’ সম্পর্ক থাকা বাবুলের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মধ্যেও খুব কিছু খারাপ দেখছেন না মহুয়া। বরং, বাবুলের রাজনীতি ছাড়লেও সাংসদ পদে ইস্তফা না দেওয়ার সিদ্ধান্তের পাশেই দাঁড়ালেন তিনি।
সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সময় বাবুল ছিলেন নরেন্দ্র মোদীর সরকারের প্রথম দফার মন্ত্রী। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে একটি টিভি চ্যানেলের বিতর্কে যোগ দিয়ে বাবুল তাঁর সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন মহুয়া। ‘লাইভ’ তর্কাতর্কি চলার মধ্যেই বাবুল তাঁকে বলে বসেন, ‘‘মহুয়া তুমি কি মহুয়া খেয়ে আছো?’’ এতে অপমানিত বোধ করেন করিমপুরের তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া। পরে বলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে আমার কোনও রকম ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব নেই, কখনও মুখোমুখি কথা পর্যন্ত হয়নি। উনি এক জন মন্ত্রী হয়ে, সারা দেশের সামনে, সংবাদমাধ্যমের আলোচনায় এ কথা বলে আমায় অপমান করেছেন। এক জন মহিলা হিসেবে আমার আইনি অধিকার আমি বুঝে নেব।’’
বুঝেও নিয়েছিলেন। পরের দিনই মন্ত্রী বাবুলের বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া। বাবুল অবশ্য তাঁর মন্তব্যের পক্ষে সওয়াল করে দাবি করেছিলেন, মহুয়ার উত্তেজিত বাক্যবাণের মুখে তিনি মজা করেই ওই কথাটা বলেছিলেন। মহুয়ার পাল্টা জবাব ছিল ‘‘মজা কি না, সেটা আইনই বলবে।’’
সে সব কথা যে এখন অনেকটাই ‘অতীত’ তা শনিবার স্পষ্ট করে দিলেন মহুয়া। বাবুল রাজনীতি ছাড়লেও সাংসদ পদ ছাড়েননি। এ নিয়ে তৃণমূল নিন্দাও করেছে। তবে কৃষ্ণনগরের সাংসদ শনিবার যেন আসানসোলের সাংসদের পাশেই দাঁড়ালেন। তিনি বলেন, ‘‘এটা ওঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে আমি মনে করি, ভোটে জয় মানে একটা চুক্তিতে সই করার মতো। যাঁরা জিতিয়েছেন তাঁদের জন্য কাজ করার চুক্তি। সেটার প্রতি মর্যাদা দিতেই হয়তো বাবুল সাংসদ পদ না-ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy