Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Police

দুর্গাপুরে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, আহত দলের সাধারণ সম্পাদক

রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায়, বুকে এবং হাতে পুলিশের লাঠির আঘাত লাগে বলে অভিযোগ। আহত হয়েছেন বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্ণণ ঘড়ুই। শুক্রবারের ঘটনায় আহত হন দলের বেশ কয়েক জন মহিলা কর্মীও।

আহত রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

আহত রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:১৪
Share: Save:

পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় খুন হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী সন্দীপ ঘোষ। সেই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাইফুলের গ্রেফতারির দাবি জানাতে শুক্রবারও পথে নেমেছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। সেই প্রতিবাদ মিছিলেই লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় আহত হলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েক জন দলীয় কর্মী-সমর্থক।

রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায়, বুকে এবং হাতে পুলিশের লাঠির আঘাত লাগে বলে অভিযোগ। আহত হয়েছেন বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্ণণ ঘড়ুই। শুক্রবারের ঘটনায় আহত হন দলের বেশ কয়েক জন মহিলা কর্মীও।

দিন দশের আগে দলের বৈঠক থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাঁকসায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বিজেপি কর্মী সন্দীপ। ঘটনায় আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। এর পরই সন্দীপের সঙ্গী, হামলায় জখম জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সাইফুল-সহ ন’জনের নামে খুনের অভিযোগ করেছেন। রাজ্য বিজেপির ‘টুইটে’ সাইফুলকে তৃণমূল আশ্রিত ‘মাফিয়া’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তখন থেকেই লাগাতার বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখাচ্ছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: গতকালের রায় খারিজ, রথযাত্রা মামলা সিঙ্গল বেঞ্চেই ফেরত পাঠাল ডিভিশন বেঞ্চ

প্রথম থেকেই বিজেপির দাবি ছিল সাইফুলকে গ্রেফতার করতে হবে। আজ, শুক্রবার সেই গ্রেফতারির দাবিতেই দুর্গাপুরের কুমারমঙ্গলম পার্ক থেকে অরবিন্দ থানা পর্যন্ত বিজেপির বিক্ষোভ-মিছিলের কর্মসূচি ছিল। মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: দু’দিন ধরে দিল্লিতে অপেক্ষায় সোমেন-গৌরব, শিমলায় ছুটি কাটাচ্ছেন রাহুল গাঁধী

অন্য দিকে, মিছিল আটকাতে সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। রাস্তায় তৈরি করা ছিল পুলিশের ব্যারিকেট। সেই মতো মাঝ পথেই বিজেপির মিছিল আটকায় পুলিশ। আর তখনই শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘মিছিল ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কোনও রকম প্ররোচনা মিছিল থেকে দেওয়া হয়নি। আচমকাই বিনা কারণে পুলিশ লাঠি চার্জ করতে শুরু করে।’’ পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হন রাজুবাবু, লক্ষ্মণ ঘোড়ুইরা। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের লাঠির আঘাত থেকে রেহাই মেলেনি দলের মহিলা কর্মীদেরও। এ দিন পুলিশের মারে প্রায় ২০-২৫ জন দলীয় কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির।

লাঠিচার্জের পর অবশ্য সেখান থেকে চলে যাননি বিজেপি কর্মীরা। বেশ কিছু ক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া - পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Crime Murder Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE