বানারহাট ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি সীমা চৌধুরী (ডান দিকে) এবং সহ-সভাপতি আরতি মহালি। —নিজস্ব চিত্র।
বানারহাটে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে শাসকদলের মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন জানাল বিজেপি। শাসক-বিরোধী মিলিয়ে বুধবার ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়া ১৯ জনের সমর্থনে সভাপতি হলেন সীমা চৌধুরী। সহ-সভাপতি আরতি মহালি। বাকি আসনগুলোর কর্মাধ্যক্ষ পরে নির্বাচন করা হবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
বিজেপি-র সমর্থনের পর অন্য জল্পনা উস্কে দিয়েছেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সভানেত্রী মহুয়া গোপ। তাঁর দাবি, ‘‘আজ যে ভাবে বিজেপি-র পাঁচ জন সদস্য তৃণমূলের মনোনীত সভাপতিকে সমর্থন করেছেন, তাতে জেলার বাকি বিজেপি জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূলে যোগদান শুধু সময়ের অপেক্ষা। কেননা মানুষ উন্নয়নের পক্ষে।’’
বিধানসভা ভোটের আগে ধূপগুড়ি ব্লক ভেঙে বানারহাটকে আলাদ ব্লক হিসাবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবগঠিত বানারহাট ব্লকে নিয়োগ হয় বিডিও। অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতি গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়ান স্থানীয় তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর, দলবিরোধী কাজ করলে বহিষ্কারের হুঁশিয়ারি দেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এর পর কিছুটা নরম হন বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতিতে ২১ জন সদস্যের আসন নিয়ে বোর্ড গঠন হয়েছিল। যার মধ্যে ১৬টি আসন ছিল তৃণমূলের। বিজেপি-র দখলে ছিল পাঁচটি আসন। বুধবার তৃণমূলের ১৪ এবং বিজেপি-র পাঁচ জন ভোটাভুটিতে অংশ নেন।
নির্বাচন-পর্ব শেষে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে ওঠেন মহুয়া গোপ। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় পর সীমা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সে জন্য তাঁকে ও দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ। বানারহাট ব্লকের সাধ্য মতো উন্নয়নের চেষ্টা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy