মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফের সামূহিক নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটতে চাইছে রাজ্য। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরে জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে যেমন কলকাতায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকা (কন্টেনমেন্ট জোন) চিহ্নিত করার কথা রয়েছে, তেমনই রয়েছে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া-সহ লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কমানো এবং বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশিকার কথা। তবে সবটাই পর্যালোচনা করে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন মমতা।
বাইরে থেকে আসা বিমানযাত্রীদের থেকেই রাজ্যে করোনার প্রকোপ ফের বাড়ছে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। কাজেই আন্তর্জাতিক বিমানের ক্ষেত্রে ফের নিয়ন্ত্রণ আনা যায় কি না, তা পর্যালোচনার কথা বলেছেন তিনি। এর পরেই মমতা প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘বাইরে থেকে আসারা কলকাতায় বেশি থাকেন। বাইরে যায়ও কলকাতার লোক বেশি। তাই কলকাতায় যদি কিছু কন্টেনমেন্ট জোন করতে হয়, দেখে নাও।’’ তিনি কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ড ধরে ধরে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরেই মমতার মন্তব্য, ‘‘আগামী ১ জানুয়ারি অনেকের অনেক ধরনের অনুষ্ঠান রয়েছে। ১ আর ২ তারিখ না করে যদি ৩ জানুয়ারি থেকে কোনও প্রোটোকল চালু করতে হয়, দেখতে হবে। আবার একটা রিভিউ করতে হবে। দরকার হলে ৫০ শতাংশ লোককে বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে।’’ একই সঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘যদি সংক্রমণ বাড়ে তা হলে কিছু দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ করতে হবে আবার।’’
মমতার মতে, ওমিক্রনটা ছড়াচ্ছে বেশি। সংক্রমিত করছে বেশি। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেই সংখ্যা কমানোর দায়িত্ব সকলকে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন। কোভিড প্রোটোকল সবাইকে মানার নির্দেশও দিয়েছেন। লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কমানোর ইঙ্গিতও দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘এর ফলে লোকাল ট্রেনও এফেক্ট করতে পারে।’’ আধিকারিকদের উদ্দেশে তার পরামর্শ, ‘‘এখনই সব বন্ধ করতে যেয়ো না। কমিয়ে দাও। প্রচুর মানুষ লোকাল ট্রেনের উপর নির্ভরশীল। রুজিরোজগার বন্ধ করা যাবে না। ট্রেনে যাবেন মাস্ক পরে।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘ট্রেনটা এখনই কমানো যাবে না। গঙ্গাসাগর রয়েছে। বিধি মেনে যাঁরা যাবেন, তাঁরা যেতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy