—প্রতীকী ছবি।
জঙ্গলে ঘুরতে গিয়েছিলেন আমেরিকার নিউ জার্সির বাসিন্দা জন টাইরেল। কেপ মে এলাকার বেলেপ্লেন জঙ্গলে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই একটি ফ্রিজ দেখতে পান তিনি। ফ্রিজটির উপর ধুলোর মোটা পরত পরলেও দেখে খুব একটা পুরনো মনে হচ্ছিল না। ফ্রিজটা খুলবেন কি খুলবেন না এই ভেবেই বেশ কিছুটা সময় কাটে জনের। অনেক ভেবে হ্যাঁচকা টানে ফ্রিজের দরজা খুলে ফেলেন তিনি। তবে ফ্রিজ খোলার পরেই আতঙ্কে কেঁপে ওঠেন জন। দরদর করে ঘামতে থাকেন তিনি। চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। একটু ধাতস্থ হয়েই পুলিশে খবর দেন জন।
কিন্তু ফ্রিজের মধ্যে কী এমন ছিল যে, ওই ভাবে আঁতকে উঠেছিলেন জন? আসলে ফ্রিজ খুলতেই জন একটি লাশ দেখতে পেয়েছিলেন। একটি গালিচা এবং ব্যাগের মধ্যে মোড়া ছিল পচাগলা মৃতদেহটি। জনের ফোন পাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ফ্রিজ এবং মৃতদেহটি উদ্ধার করার পরে তদন্ত শুরু হয়।
সংবাদমাধ্যম ‘ডেলি স্টার’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ ডিসেম্বর। ময়নাতদন্তের পরে বোঝা যায় মৃতদেহটি একটি মহিলার। দু’দিন পরে মৃতার শরীরের গয়না এবং ট্যাটুর সাহায্যে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, দেহটি ছিল লরা হিউ নামে ৫০ বছর বয়সি এক মহিলার। বিবাহবিচ্ছিন্না ছিলেন তিনি। কেপ মে-তে দুই কন্যার সঙ্গে থাকতেন। কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
আরও তদন্তের পরে তদন্তকারীদের অনুমান, লরার মৃত্যুর নেপথ্যে হাত রয়েছে তাঁর প্রেমিক ক্রিস্টোফার ব্লেভিন্সের। গত বছরের ২৪ জুলাই একটি ফ্রিজ নিয়ে ওই জঙ্গলের আশপাশে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সিসি ক্যামেরার সেই দৃশ্য ধরা পড়ে। এর কিছু দিন পরেই আমেরিকা ছেড়ে মেক্সিকো পালিয়ে যান ক্রিস্টোফার। লরাকে ক্রিস্টোফারই খুন করেছেন কি না, তা এখনও প্রমাণিত না হলেও পুলিশের সন্দেহের তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন তিনি। ক্রিস্টোফার বর্তমানে পলাতক। ক্রিস্টোফারকে খুঁজে বার করতে ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy