মাঝে বেশ কিছু দিন চুপ ছিলেন তিনি। আবার পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়ল তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা। সেখানে পাহাড়বাসীকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বিমল গুরুঙ্গ সোজা চলে গিয়েছেন শুভ-অশুভের লড়াইয়ের প্রসঙ্গে। নিজেকে ডেভিডের সঙ্গে তুলনা করে গলিয়াথের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ে আস্থা রেখেছেন ঈশ্বরের উপরে। দাবি করেছেন, দ্রুত বাস্তবায়িত হবে গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন।
সিআইডি বা রাজ্য পুলিশের দল এখনও গুরুঙ্গের খোঁজ পায়নি। তাদের দাবি অনুযায়ী, তারা একাধিক বার গুরুঙ্গের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে হাত ফস্কে পালিয়ে গিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের মামলায় কিছুটা স্বস্তিও পেয়েছেন গুরুঙ্গ। এই অবস্থায় বড়দিনের আগে তাঁর বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এ দিনের বার্তায় গুরুঙ্গ নিজেকে শুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে আশা রেখেছেন, ভগবানে যার অটল বিশ্বাস, অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে এক দিন তার জয় হবেই। বাইবেল থেকে পংক্তি উদ্ধৃত করার ফাঁকে কৌশলে ঢুকে পড়েছেন গোর্খাল্যান্ড প্রসঙ্গে।
আলোচনাপন্থী বিনয় তামাঙ্গরা অবশ্য মনে করছেন, পাহাড়ে পায়ের তলায় আর মাটি নেই বলেই ঈশ্বরের শরণ নিতে চাইছেন গুরুঙ্গ। কিন্তু ভগবানও আর তাঁর পাশে নেই। তাই নিজের ঘাঁটিতে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থেকে রোশন গিরি-সহ আরও বেশ কিছু নেতার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বড়দিনের বার্তা দিতে হয়েছে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy